মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতে (Barasat) বিজেপির কার্যালয়ে জেলা সভাপতি তাপস মিত্রর হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা পুষ্পারানি বৈদ্য (মজুমদার)। সেই সঙ্গে একই দিনে এলাকার ২০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। পুষ্পারানি ২০০৩ সালে হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি হাবড়া ২ নম্বর ব্লকেরই ১৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।
কী বললেন বিজেপির প্রতীকে লড়াই করা প্রার্থী
বিজেপির জেলা কার্যালয়ে (Barasat) শ্রীমতি পুষ্পারানি বৈদ্য (মজুমদার) বলেন, রাজ্য জুড়ে কোনও গণতন্ত্র নেই। সন্ত্রাসের আবহ চলছে, চারদিকে গণতন্ত্রকে রোজ হত্যা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে অপশাসন চলছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই আমরা রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে হেঁটেছি। ৩৪ বছরের সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়াই করেছি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর যে স্বপ্ন নিয়ে সমাজ পরিবর্তনের কথা মানুষ ভেবেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
একজন জন প্রতিনিধি হিসাবে কী বললেন?
২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি একজন জন প্রতিনিধি (Barasat) ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে দল তাঁর সঙ্গে বঞ্চনা করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, আমি গত পাঁচ বছর ধরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। রাজনীতি আমার রক্তে বইছে, রাজনীতি থেকে আমার পক্ষে দূরে থাকা সম্ভব নয়। আমি বুঝেছি, মানুষের কাছে এবং মানুষের পাশে থেকে কাজ করাটাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, কেউ বলতে পারবেন না, আমি জনগণের একটা টাকাও কাটমানি বা চুরি করেছি। কোনও ঠিকাদার বলতে পারবেন না, কাজের বিনিময়ে টাকা নিয়েছি। বরং আমি বলেছি রাস্তাটা ঠিক নেই, ঠিক করে দাও। কাজের বিনিময়ে প্রাপ্য অধিকার সকলকে দিয়েছি। কিন্তু আজ তৃণমূলের কাছে যোগ্য মানুষের কোনও গুরুত্ব নেই। আজ যে মমতা দিদিকে দেখছি, তিনি এখন অনেক বদলে গেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ভাবনা এবং নরেন্দ্র মোদির সুশাসনকে দেখছি আমি। মনে মনে দলের প্রার্থী হিসাবে নয়, সাধারণ সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই। বাংলার জন্য কিছু করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দল যেভাবে আমাকে ব্যবহার করবে, আমিও ঠিক সেই ভাবেই কাজ করব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours