মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২ জানুয়ারি থেকে জোশীমঠের (Joshimath) কয়েকশো বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়, ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নেয় নিজেদের আত্মীয়দের বাড়িতে অথবা সরকারি ক্যাম্পে। প্রশাসন সে সময় এই পীঠস্থানকে ডুবন্ত শহর বলে ঘোষণা করে। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে শহরের ৬৫-৭০ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন এবং আগামী চার মাসের মধ্যেই চারধাম যাত্রা শুরু হবে,ততদিনে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
মুখ্যমন্ত্রী আর কী বললেন
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে জোশীমঠের (Joshimath) সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি শহরের বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না কেউ। দেশের কিছু প্রান্ত থেকে জোশীমঠ (Joshimath) নিয়ে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, “আউলিতেও সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বর্তমানে। ওই স্থান দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকরা এখনও নিয়মিতভাবেই আসছেন ওখানে। চারমাস পরেই চারধাম যাত্রা শুরু হবে। দলে দলে তীর্থযাত্রীরা তখন আসবেন। জোশীমঠ (Joshimath) হয়েই তাঁরা কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথের দিকে এগিয়ে যাবেন।”
এনটিপিসি-র দাবি
জোশীমঠ(Joshimath) বিপর্যয়ের জন্য বিভিন্ন মহল থেকেই এনটিপিসির খনন কাজকে দায়ী করা হচ্ছিল। এবার এই অভিযোগকে একেবারেই নস্যাৎ করে দিল এনটিপিসি। এদিন এনটিপিসির অতিরিক্ত জিএম ভূতত্ত্ব ভুবনেশ কুমার বলেন, বর্তমানে টানেলে কোনওরকম ব্লাস্টিং হচ্ছে না। ব্লাস্টিং এর কারনে যদি শহরের বাড়িতে ফাটল ধরত অথবা ভূমিধসে যেত তবে টানেলটিও প্রভাবিত হত। কিন্তু সেরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তাই এনটিপিসির কাজের সঙ্গে ভূমিতল তলিয়ে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ১২ কিলোমিটার এই টানেলের কাজ হয়েছে বোরিং মেশিন দিয়ে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours