মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ কর্ম নিয়ে বিচারপতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, " ৯৫২টি বিকৃত ওএমআর (OMR) শিট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। ওই ওএমআর (OMR) শিট দেখার জন্য কোনও প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই পদ্ধতি? কিসের জন্য আড়াল করার চেষ্টা?"
কী বললেন বিচারপতি
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, "এই ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনা উচিত। কিন্তু কমিশন এখনও আড়াল করার চেষ্টা করছে? আদালতের নির্দেশের পরেও স্বচ্ছতার ধার ধারছে না কমিশন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই ভূমিকায় আদালত মোটেও সন্তুষ্ট নয়।" কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আদালতের নির্দেশের পরও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ দেখে আশ্চর্য হলাম। ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে কেন প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই ঘোমটা?” “এই দুর্নীতি তো জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। সেখানে এখনও কেন আড়াল করছে কমিশন?” এর পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের যুক্তি
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কমিশনের আইনজীবী বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওএমআর (OMR) শিট পুরোপুরি লোড করা যায়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব নির্দেশ সঠিকভাবে পালিত হবে বলেও আশ্বস্ত করেন কমিশনের আইনজীবী। দুপুর ১২টা নাগাদ আদালতে হাজিরা দিয়ে কমিশনের সচিব অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বিচারপতিকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরপত্রগুলি সকলে দেখতে পাচ্ছেন না। খুব দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই সবাই উত্তরপত্রগুলি দেখতে পারবেন। কাল ফের মামলার শুনানি। 'কীভাবে ওএমআর (OMR) শিট বিকৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে তা নজর রাখবে, আদালত।' মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours