মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ এবং ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। রীতিমতো উদ্বেগের সুরে তিনি বলেন, এই রাজ্যে সাংবিধানিক অবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তাঁর প্রশ্ন, “যাদের লেলিয়ে দেওয়া হল মারার জন্য, তারা ভারতবর্ষের নাগরিক তো? নৌকা করে আসেনি তো?”
পরিকল্পনা করে আক্রমণ
রেশন ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে তৃণমূল নেতা শাহাজাহান শেখের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় আক্রান্ত হয় ইডি আধিকারিকরা। এদিন হাসপাতালে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, দুই ইডি আধিকারিকের চোট গুরুতর। মানবিকতার খাতিরে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে এসেছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে চিন্তিত বিচারপতি বলেন, “পুলিশের উপর আমরা ভরসা আছে। কিন্তু পুলিশ পরিচালনার উপর ভরসা নেই। পুলিশকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হচ্ছে। পুলিশকে হাত খুলে কাজ করতে দিলে, দুর্বৃত্তদের সহজেই উড়িয়ে দেওয়া যাবে।”
তদন্তে সহযোগিতার আর্জি
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গুরুতর আহত। দুজনের মাথায় ভয়ঙ্কর চোট। একজন আইসিইউতে। দুজন জেনারেল বেডে। পরিকল্পনা করে মেরেছে। আমি এসেছি, আমার কোর্ট থেকেই আদেশ দেওয়া হয়। যদি কেউ মনে করে দুর্নীতি হয়নি, তার উচিত সহযোগিতা করা। উচিত এজেন্সিকে সাহায্য করা। কোর্টে কোর্টে না দৌড়ে। অফিসারদের উপর টেররাইজ করে দুর্নীতি আটকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু
সন্দেশখালিকাণ্ডে বিচারপতি তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বাড়িতে শাহজাহানকে পাওয়া যায়নি। তিনি এতই সাহসী যে, বাড়িতে থাকতে পারেননি। ইডির ভয়ে দৌড়ে চলে গিয়েছিলেন। কঠোর ব্যবস্থা তো নেওয়া উচিত বটেই।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, তিনি চান যে, তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছেন, সেই শাহাজাহান যেন শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে ইডি অফিসে হাজিরা দেন। এর পর সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার একটা স্পেসিফিক প্রশ্ন আছে। যাঁদেরকে মারার জন্য লেলিয়ে দেওয়া হল, তাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক তো? তাঁরা অন্য কোনও জায়গা থেকে নৌকো করে এখানে ঢোকেননি তো? যদি উপযুক্ত তদন্ত হয়, তাহলে কারা কাকে আশ্রয় দিচ্ছে, সেটা জানা যাবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours