Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি...
justice_abhijit_ganguly_calcutta_hc
justice_abhijit_ganguly_calcutta_hc

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী শুনানিতে যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্য মামলায় (Manik Bhattacharya Case) এই বলে সিবিআইকে সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল মানিক ভট্টাচার্যের মামলার। ওই দিন শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এরই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির সময় যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  

পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক...

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা। সেই মামলার শুনানি ছিল ১৮ নভেম্বর। ওই দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ২৬ পাতার রিপোর্ট। তদন্ত চলছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দিকে। বামেদের হটিয়ে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে ২০১১ সালে। তার পরের বছরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব পান মানিক। ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় সরিয়ে দেওয়া হয় মানিককে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সরানো হয় তাঁকে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা।

আরও পড়ুন: "কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার", সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

কেবল সিবিআই নয়, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-ও। ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles