মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাউন্সেলিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। চলতি বছরই বেশ কয়েকজনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে কাউন্সেলিং ছাড়াই। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই হয়েছিল মামলা। এই মামলার শুনানিতে রায় দিতে গিয়ে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ahijit Ganguly)। আদালতের নির্দেশ ছাড়া আপাতত এই জেলায় কোনও নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নয় বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।
লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের
নিয়োগ সংক্রান্ত নানা মামলায় কার্যত লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের। এমতাবস্থায় আদালতের এই স্থগিতাদেশে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল দফতরের কেলেঙ্কারি। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অনিয়মের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক দুর্নীতি। কাউন্সেলিং কিংবা ইন্টারভিউয়ের তোয়াক্কা না করেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে অনেককেই। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, সেসব ক্ষেত্রেই তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। যা নিয়ে (Justice Ahijit Ganguly) নিরন্তর চলছে শাসক-বিরোধী তরজা। এহেন আবহে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল আদালত।
রাজ্যের বক্তব্য
এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কেবল বয়স ও অভিজ্ঞতার নিরিখেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনেই এই নিয়োগ হয়। রাজ্যের বক্তব্য যে আদতে ধোপে টেকেনি, আদালতের নির্দেশই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির জাল যে কতদূর বিস্তৃত, তার প্রমাণ মিলেছিল মাস দেড়েক আগেই। কৌশিক মাজি নামে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি সংস্থা। এই সংস্থার আর এক কর্তা পার্থ সেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। ধৃতকে জেরা করে কৌশিকের নাগাল পান সিবিআই আধিকারিকরা (Justice Ahijit Ganguly)।
আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours