DY Chandrachud: ছেলেকে অন্যায় ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়! অভিযোগ খারিজ বার কাউন্সিলের

অভিযোগকারী রশিদ খান পাঠান দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতকে...
dy_chandrachud
dy_chandrachud

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার লাইনে রয়েছেন তিনি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে তিনিই প্রবীণতম বিচারপতি। রীতি ও প্রথা অনুযায়ী তিনিই হতে পারেন দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি। সেই ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ। রশিদ খান পাঠান নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, চন্দ্রচূড় অবৈধভাবে তাঁর ছেলের ক্লায়েন্টকে অন্যায়ভাবে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও পাঠানের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।

একটি চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট অ্যান্ড হাইকোর্ট লিটিগেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, বিচারপতি চন্দ্রচূড় কয়েকটি অর্ডার পাশ করেছিলেন, যেখানে তাঁর ছেলে অভিনব চন্দ্রচূড় বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেছিলেন। পাঠানের দাবি, পরিবেশ প্রতিকূল আঁচ করে এবং তাঁদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে বুঝতে পেরে অ্যাডভোকেট অভিনব চন্দ্রচূ়ড় ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) সহ অন্য অভিযুক্তরা অন্যান্য পিটিশনকারী ও হাইকোর্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আরও একটি পরিকল্পনা করেছিল।

অভিযোগপত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচাপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)  বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে মামলায় তাঁর ছেলে কোনও এক মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করছেন, সেই মামলা থেকে চন্দ্রচূড়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বার্থের সংঘাত হওয়া সত্ত্বেও তিনি ওই মামলা শুনেছেন এবং ছেলের ক্লায়েন্টকে সুবিধা পাইয়ে দিতে অর্ডার পাশ করেছেন। এটি ভারতীয় পিনাল কোডের ১৬৬, ২১৯, ৪০৯, ১২০ (বি), ৩৪ এবং ৫২ নম্বর ধারার পরিপন্থী। অভিযোগকারী রশিদ খান পাঠান দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতকে দেশের পরবর্তী বিচারপতি হিসেবে চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম প্রস্তাব না করতেও অনুরোধ করেছেন।

আরও পড়ুন : "স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য...", সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

তবে রশিদ খান পাঠানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বার অ্যান্ড বেঞ্চ। তাদের দাবি, বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মিথ্যে। বিবৃতি জারি করে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াও জানিয়েছে, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, কিছু লোক নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে এসব করছে। ঘটনাটিকে বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের  কুৎসিত প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে তারা। এই জাতীয় প্রবণতা দেশের পক্ষে খুবই উদ্বেগের। এবং একে যেনতেন প্রকারে বন্ধ করতে হবে বলেও জানিয়েছে বার কাউন্সিল।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles