Justice DY Chandrachud: সহনশীল হও, তবে ‘হেট স্পিচ’কে স্বীকৃতি দিও না! জানুন কী বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়

স্নাতকস্তরের আইনি পড়ুয়াদের তিনি  বলেন, ''নিজের বিবেক এবং নিরপেক্ষ যুক্তির উপর ভিত্তি করে চলতে হবে।"
Chandrachud
Chandrachud

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যের মতামত গ্রহণ এবং সহনশীল হওয়ার অর্থ এই নয় যে একজনকে ঘৃণামূলক বক্তব্যও (Hate Speech) মেনে নিতে হবে। সম্প্রতি এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (dy chandrachud)। গুজরাটের গান্ধীনগরে গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির (GNLU) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। স্নাতক শিক্ষার্থীদের তাঁদের “নিজের বিবেক এবং ন্যায়সঙ্গত কারণ” দ্বারা পরিচালিত হওয়ার আহ্বান জানান চন্দ্রচূড়। স্নাতকস্তরের আইনি পড়ুয়াদের তিনি  বলেন, ''নিজের বিবেক এবং নিরপেক্ষ যুক্তির উপর ভিত্তি করে চলতে হবে।"

সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ "সামাজিক মাধ্যমে মানুষের মনোযোগ সীমাবদ্ধ ৷ এটাও মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা এমন অনেক কাজ করি, যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রয়েছে ৷ প্রতিদিনের ঝঞ্ঝাট নিয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়", বলেন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি ৷ উল্লেখ্য, দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা অবসর নিলে বিচারপতি ইউইউ ললিত প্রধান বিচারপতি হবেন ৷ তারপর বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সেই আসনে বসার কথা ৷

আরও পড়ুন: স্থায়ী রাজ্যপাল নেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের অ্যাট-হোম কি বাতিল?

তিনি ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের (Voltaire) একটি উক্তি তুলে বলেন, "তুমি যা বলছো, আমি তা নাও মানতে পারি ৷ কিন্তু তোমার বলার অধিকারের জন্য আমি মৃত্যু পর্যন্ত লড়ব ৷" এই উদ্ধৃতিটি নিজেদের জীবনে কার্যকর করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ৷ ভুল করা, কোনও কারণ ছাড়া নিজেকে গ্রহণযোগ্য ও সহনীয় করে তোলার অর্থ অন্ধের মতো আচরণ ৷ এর মানে এটা নয় যে, হেট স্পিচের বিরুদ্ধে গলা তোলা যাবে না, জানান বিচারপতি ৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে "বাড়তে থাকা কোলাহল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনৈতিক ধন্দ, সামাজিক এবং নৈতিক সংঘাতে"র মধ্যে গিয়ে পড়বেন তাঁরা ৷ সেখানে তাঁদের নিজের বিবেক, বিচারবুদ্ধি দিয়ে চলতে হবে, ভবিষ্যৎ আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বার্তা বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের ৷

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles