মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ। মোবাইল, গয়না কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কাঁথির (Kanthi) এক নাবালিকা কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
ঠিক কী কী অভিযোগ তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে?
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, নাবালিকার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাকে দিঘার হোটেলে নিয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের ওই যুব তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, সেখানে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে নাবালিকাকে। ক্যামেরা বন্দি করে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। এরপর সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে পরবর্তীতেও ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। এমনকী ধর্ষণের পরে যাতে ওই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সে কারণে তাকে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটও খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন বলেন দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই নেতার বিরুদ্ধে কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার মা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল
ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওরা নিয়ে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তারপর থেকে আমরা খুবই ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লোক মারফত হুমকি আসছে। রাতে বাড়ির বাইরে অপরিচিতদের বাইকের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি। মূল অভিযুক্ত ছাত্র নেতার সঙ্গে দলের অনেক উচ্চতর নেতৃত্বের ছবিও রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেও দেখেছি। আমি চাই অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, এমন অভিযোগ ওঠার পরেই ওই ছাত্রনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির কাঁথি নগর মণ্ডলের সভাপতি সুশীল দাস বলেন, “রাজ্যব্যাপী এটাই চলছে। উত্তর প্রদেশে যেখানে সোজাসুজি ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হচ্ছে সেখানে বাংলায় ধর্ষকরা সাজা পাচ্ছে না।”
+ There are no comments
Add yours