মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত কমিউনিস্ট দেশ উত্তর কোরিয়া। এখানে মেয়েরা ভোগের বস্তু! যেখানে ভারতে নারীকে মায়ের আসনে বসিয়ে পুজো করার রীতি রয়েছে সেখানে উত্তর কোরিয়া একনায়ক কিম জং উন নিজের যৌন তৃপ্তির জন্য মেয়েদের ব্যবহার করছে দিনের পর দিন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া (North Korea) থেকে পালিয়ে আসা ইওনমি পার্ক নামে এক তরুণী কিম জং উন সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কিম জং উন যৌন তৃপ্তির জন্য প্রতিবছর প্রায় ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন। উল্লেখ্য, এখানে মহিলাদের চেহারা, শরীরের গঠন ও পারিবারিক রাজনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়।
কোন মেয়েদের টার্গেট করা হয়? (North Korea)
ইওনমি জানান যে, কিমের "প্লেজার স্কোয়াড" এর জন্য তাঁকে দুবার বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু তার পারিবারিক অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত তাকে আর নির্বাচিত করা হয়নি। জানা গেছে, কিম সেখানকার (North Korea) প্রতিটি স্কুল ও স্কুলের শ্রেণিকক্ষে থাকা প্রতিটি মেয়েকে দেখে তার মধ্যে থেকে সুন্দরী মেয়ে খুঁজে পেলে প্রথমেই তাঁর পারিবারিক অবস্থান ও দলের প্রতি আনুগত্যের বিষয়ে খোঁজ নেন। এক্ষেত্রে পরিবারের কেউ উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে গেলে কিংবা দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্য কোন দেশে আত্মীয়-স্বজন আছে এমন মেয়েদেরকে প্লেজার স্কোয়াডে (Pleasure Squad) নেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট
কুমারিত্বের পরীক্ষা
ইওনমি আরও দাবি করেন, মেয়েরা একবার নির্বাচিত হলে, তারা কুমারী কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। যদি পরীক্ষার ফলে কোনরকম ত্রুটি থাকে তবে সেই মেয়ে কিমের "প্লেজার স্কোয়াড" থেকে তৎক্ষণাৎ বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে কঠোর পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়া (North Korea) জুড়ে শুধুমাত্র বাছাই করা কিছু মেয়েকেই পিয়ং ইয়ং এ পাঠানো হয়। যেখানে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য কিমের যৌন সঙ্গিনী হওয়া।
পার্ক জানান, "প্লেজার স্কোয়াড" এ বাছাই হওয়ার পর মেয়েদের কিম (Kim Jong-un) ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যৌনমিলনে বাধ্য করা হত। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ওই পুরুষদের খুশি করা। মেয়েদের ইচ্ছের কোন তোয়াক্কা করা হত না। বিদ্রোহ করলে একটাই শাস্তি, কঠিন মৃত্যু।
কিমের সেবা করার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়েদের নির্বাচন করা হলেও তাঁদের চোখে প্লেজার স্কোয়াডের দ্বিতীয় শ্রেণীর মেয়েদের নিম্নপদস্থ জেনারেল এবং রাজনীতিবিদদের সন্তুষ্ট করার জন্য নিয়োগ করা হত। মেয়েদের যখন কুড়ির ওপরে বয়স হয়ে যায়, তখন তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং তখন তারা প্রায়শই নেতাদের দেহরক্ষীর সাথে বিয়ে করে।
এই "প্লেজার স্কোয়াডের" উৎপত্তি হয়েছিল ১৯৭০ দশকে, কিম জং উনের (Kim Jong-un) বাবার সময়কালে। যিনি বিশ্বাস করতেন, "যৌন ঘনিষ্ঠতা তাঁকে অমরত্ব দেবে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours