মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা সাধারণত কার্ডিওভাস্কুলার (Cardiovascular) বলতে শুধুমাত্র হৃদয়ের স্বাস্থ্যের কথাই ভেবে থাকি। কিন্তু কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা (Cardiovascular Endurance) বলতে হৃদয়ের পাশাপাশি আপনার শারীরিক ক্ষমতার পরিমাণও বোঝানো হয়। অর্থাৎ কোনও গতিশীল কার্যকলাপ করার সময় হৃদয়ের পাশাপাশি ফুসফুসের পেশীগুলি অথবা অন্যান্য পেশীগুলি কতটা ও কিভাবে কাজ করছে এবং আপনার হার্ট কতটা সহ্য করতে পারছে, সেটিকেই বোঝানো হয়।
কী এই কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা:
এক কথায় বলতে গেলে আপনি কোনও এক্সারসাইজ অথবা ব্যায়াম করতে গেলে আপনার হার্ট কতটা সেই কাজ কোনও কষ্ট ছাড়াই করতে পারছে সেটিই বোঝা যায় এবং এটি নির্ভর করে আপনার হার্ট কত তাড়াতাড়ি অক্সিজেন সঞ্চালন করতে পারছে। কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা হল জগিং (Jogging), সাঁতার কাটা (Swimming), সাইকেল চালানো (Cycling) এমন কিছু ব্যায়াম যা আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে একটি সময়ের জন্য কাজ করতে বাধ্য করে ও এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাই আপনার দেহের ক্ষমতা হিসাবে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা
কোন এক্সারসাইজ করলে কার্ডিওভাসকুলার সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে:
আপনারা মনে করেন, শুধুমাত্র দৌড়লেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে কিন্তু দৌড়ানোর সঙ্গে সাইক্লিং, সাঁতার কাটাও একটি ভালো এক্সারসাইজ। আপনি যত আপনার শরীরের পেশীকে সঞ্চালন করবেন ততই আপনার দেহ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আরও কিছু কার্যকরী এক্সারসাইজ হল— স্কিইং, রোয়িং, ইত্যাদি।
কার্ডিওভাসকুলার সহনশীলতার উপকারিতা:
নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের কার্যকরী ক্ষমতা উন্নত হবে। ফলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে, সঙ্গে আপনার বিপাক প্রক্রিয়ার কাজকেও দ্রুত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনার শরীর যত সুস্থ থাকবে ততই আপনার ঘুম ভালো হবে। সুতরাং কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতার সরাসরি প্রভাব আপনার ঘুমের উপর রয়েছে।
আপনার হার্ট যত বেশি ভাল থাকবে তত আপনার হৃদজনিত সমস্যা (Heart problems) কম দেখা যাবে। এছাড়াও হাইপারটেনশন (Hypertension), ডায়াবেটিস (Diabetes) হৃদরোগ ইত্যাদি থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমকেও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো নিজের করা উচিত। যেমন- ভারী জিনিসপত্র ওঠানো, এলিভেটরের পরিবর্তে সিঁড়িতে চড়া, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলো— এইসব কাজ করার মাধ্যমে আপনার দেহের পেশীগুলো ভালোমতো চালনা হবে। ফলে আপনার হার্টেরও কোনও সমস্যা হবে না। সুতরাং দিনের শেষে আপনি যত বেশি অ্যাক্টিভ থাকবেন, আপনার হৃদয় ও শারীরিক অবস্থার সঙ্গে মানসিক অবস্থারও উন্নতি হবে।
+ There are no comments
Add yours