মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে একের পর এক বিক্ষোভ আন্দোলন লেগেই রয়েছে। আর এবারে বিক্ষোভে বসেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিক্ষোভে বসেছেন তাঁরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয়েছে কলকাতা হাসপাতালের সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার এবং বিভাগীয় প্রধানদের। ৭ বছর পর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ছাত্ররা। অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের নার্সরা তাঁদের বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পাল্টা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। ফলে বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। আর এই বিক্ষোভের জেরে তুমুল অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা। তাই নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রোগীর পরিবার। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার জরুরি শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
উত্তাল মেডিক্যাল কলেজ
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের অধ্যক্ষ, এবং বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তাঁরা। ৭ বছরের পর ছাত্র সংসদের নির্বাচন দাবি করে বিক্ষোভে বসেছেন তাঁরা। পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন নার্সিং স্টাফরা। তাঁদের দাবি হাসপাতালের নার্সিং হেডকে অবিলম্বে ঘেরাও মুক্ত করতে হবে।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সালে শেষবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। এরপর নির্বাচনের দাবি করা হলে ২২ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঠিক হলেও তা নিয়ে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা পাননি ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এরপর গতকাল হঠাৎই কোনও কারণ ছাড়া জানানো হয় এই নির্বাচন হচ্ছে না। তখন থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ও পড়ুয়ারা বিক্ষোভের রাস্তাকেই বেছে নেয়। গতকাল দুপুর ৩টে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় ও রাতভর তা চলে। প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ডাক্তারি পডুয়ারা। অন্যদিকে আজ সকালে, এই বিক্ষোভের পাল্টা বিক্ষোভ দেখান নার্সরাও।
নার্সদের কী দাবি?
ছাত্র বিক্ষোভে যখন উত্তাল মেডিক্যাল কলেজ চত্বর, তখন ময়দানে নামেন নার্সিং স্টাফরাও। কারণ ডাক্তারি পড়ুয়ারা আটকে রেখেছেন নার্সিং সুপার শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীকে। তাঁরা বলেন, “আমাদের ম্যাডামকে ছেড়ে দিতে হবে। নার্সিং সুপারকে ছেড়ে দিতে হবে। ম্যাডাম ডাক্তারদের মধ্যে পড়েন না। ওনাকে আটকে রাখা অনৈতিক। না হলে হাসপাতাল আজকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত
এই বিক্ষোভে বসার ফলে পরিষেবা বিঘ্নিত হবে কি না তা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, এক নার্স জানান, হাসপাতালের ভিতরে এক জন করে নার্স রেখে এসেছেন তাঁরা। এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, যাঁদের ডিউটি নেই, তাঁরাই বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। পরিষেবার কোনও গাফিলতি হচ্ছে না বলেই দাবি করেন তিনি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কিছু রোগীর পরিবারকে সুপারের ঘরের সামনে হাজির হতে দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষানিরীক্ষা করানোর জন্য কিছু কাগজপত্রে সুপারের সই লাগবে, সেগুলি নিয়েই সুপারের ঘরের সামনে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। ফলে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আর এতেই রোগীর পরিবারের তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।
+ There are no comments
Add yours