মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারোত্তলনে জুনিয়র মহিলা ৪৯ কেজি বিভাগে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল হাওড়ার (Howrah) কোয়েল বর। যুব কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে বাড়ি ফিরল সাঁকরাইলের মহিষগোট এলাকার এই ছোট্ট মেয়েটি। কোচ অষ্টম দাস থেকে শুরু করে সকলেই খুশি কোয়েলের এই সাফল্যে। হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার কোয়েলকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
কীভাবে এল এই সাফল্য (Howrah)?
সাঁকরাইলের (Howrah) মহিষগোট এলাকার বাসিন্দা সবে ১৩ উত্তীর্ণ কোয়েলের এক ছোট ভাই রয়েছে। বাবা মুটে মজুরের কাজ করেন। খুবই গরিব পরিবারের কোয়েলের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় কিছু হওয়ার। বিশেষ করে খেলার প্রতি তার ঝোঁক ছিল অনেক বেশি। কোয়েল জানায়, ছোটবেলা থেকেই সে নিয়মিত এক বেলা করে প্র্যাকটিস করত। বছর দুয়েক আগে থেকে দুবেলা করে প্র্যাকটিস শুরু করে। অবশেষে যে সে সাফল্য পেয়েছে, খুবই ভালো লাগছে। আগামী দিনে আরও বড় সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে চায় সে। কোয়েল জানায়, ছোট থেকেই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলতে বেরিয়ে যেত। তবে জুনিয়র বিভাগের এই সাফল্য সবে শুরু বলে মনে করে সে। কোয়েল বলেন, আগামী দিনে কঠোর পরিশ্রম করেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে চায় সে।
মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা (Howrah)
মেয়ের এই সাফল্যে খুশি কোয়েলের বাবা মিঠুন বর। তিনি জানান, নিজে সেভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি। তাই ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা এবং খেলাধূলায় পারদর্শী করার স্বপ্ন ছিল। আজ এই স্বপ্ন সার্থক হল। তাঁর গ্রাম (Howrah) থেকে আগে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও সাফল্য আসেনি বলে তিনি জানান। গত বছর হাওড়ারই ছেলে অচিন্ত্য শিউলি কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তলনে সোনা জিতেছিল। তারপর জুনিয়র বিভাগে কোয়েলের এই সাফল্য হাওড়ার মুকুটে আরও একটা নতুন পালক জুড়ল।
রূপো আসবেই, নিশ্চিত ছিলেন কোচ
কোচ অষ্টম দাস বলেন, অচিন্ত্যর ক্ষেত্রেও তাঁরা আগেই বলেছিলেন যে অচিন্ত্যের (Howrah) সোনা জয় নিশ্চিত। কোয়েলের ক্ষেত্রেও তিনি জানিয়েছিলেন, যদি কোনও ভাবে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, তাহলে সোনা জয় করতে না পারলেও অন্তত কোয়েলের ঝুলিতে রূপো আসবে। কোয়েল সোনা নিয়েই ফিরেছে তার নিজের গ্রামে। উজ্জ্বল করেছে গ্রামের মুখ। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামকে তুলে ধরেছে বিশ্বের দরবারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours