Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে। ইদগাহের ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের।
sahi1
sahi1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi mosque) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মন্দিরনগরী মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) মসজিদে নমাজ পড়া বন্ধের আর্জি জানাল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাঁদের আবেদন, অতি সত্বর যেন শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়তে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হিন্দুত্বের প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে এই আশঙ্কায় মসজিদ চত্বর সিল করে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়।

আবেদনকারীদের দাবি শাহি ইদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। ওই স্থানে একটি প্রাচীন মন্দির ছিল। আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের উপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর উপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’’হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের দাবি, ইদগাহের ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের।

হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি অনেক দিন ধরেই  দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে। এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া কৃষ্ণের একটি মন্দিরও রয়েছে। মন্দিরের নাম কাটরা কেশব দেব মন্দির।

শুধু নমাজ বন্ধ নয়, মঙ্গলবার হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে মথুরা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই শাহী ঈদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলোর সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির দাবিতে ইতোমধ্যেই একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই ঈদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তাই অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করারও আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, "কাশীর তথাকথিত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট দেখার পরে সোমবার আদালত ‘মা শৃঙ্গার গৌরিস্থল’ (মসজিদের ওজুখানা এবং তহখানা এলাকা) সিল করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। আমাদের আশঙ্কা, মথুরার শাহী ঈদগাহ থেকে এবার এমন ঐতিহাসিক প্রমাণগুলো নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা হবে। "এই মামলায় পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসের ১ তারিখ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles