মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাত সকালে ধস আসানসোলের (Asansol) কয়লা খাদানে (Coal Mine)। অন্তত ২৫ জন আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা। ঘটনাস্থলে পুলিশ, সিআইএসএফ (CISF)। রয়েছেন কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিও। অভিযোগ, খাদানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁরা ভিন রাজ্যের শ্রমিক। তাঁদের দিয়েই চলছিল ওই খাদান থেকে কয়লা সরানোর কাজ।
আচমকাই ধস...
এদিন সকালে আচমকাই ধস নামে কুলটির বোডরা গ্রামে বিসিসিএলের বারো নম্বর হাজলা পিটের বিস্তীর্ণ অংশে। স্থানীয়দের দাবি, খাদানের নীচে চাপা পড়তে পারেন প্রায় ২৫জন। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশ। খাদানের ভিতরে ঠিক কতজন আটকে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিন রাজ্যের শ্রমিক এনে খাদানে চলছিল কয়লা সরানোর কাজ। আচমকাই ধস নামে খাদানে। চাপা পড়ে যান খনির মধ্যে থাকা লোকজন। এ ব্যাপারে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুুন: প্রতিশোধের আগুন! ধর্ষণ করল ছেলে, বদলা নিতে মাকে গুলি করল দিল্লির এক কিশোরী
ঘটনার জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন মেহরা। তিনি বলেন, এখানে অবৈধভাবে কয়লার কারবার চলছে। কাউকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসন মিলে সিন্ডিকেট করে এই অবৈধ কাজ (Coal Mine) করে। লালন বলেন, এখানে বেকারত্বের সমস্যা চূড়ান্ত। সামান্য ১০০ টাকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়লা তোলার কাজ করেন অনেকেই। সেই সুযোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেন অন্যরা।
আসানসোলের বিস্তীর্ণ অংশে উন্নত মানের কয়লা পাওয়া যায়। দেশ তো বটেই, বিদেশেও চাহিদা রয়েছে আসানসোলের ওই কয়লার। কোনও খনি থেকে কয়লা তোলা হয়ে গেলে খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সেখানে মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অভিযোগ, তার পরেও ভিন রাজ্যের শ্রমিক এনে নামানো হয় ওই পরিত্যক্ত খনিগুলিতে। সামান্য কিছু পয়সার বিনিময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই খনিগুলিতেই নামেন শ্রমিকরা। সেখান থেকে পাওয়া কয়লা বেচে ফুলে ফেঁপে ওঠে কারবারিরা। শ্রমিকরা থাকেন কয়লা মতোই নিকষ কালো অন্ধকারে। যেদিন খনিতে ধস নামে, সেদিন দুশ্চিন্তার প্রহর গোণে দিন আনি দিন খাই শ্রমিকদের পরিবার।
+ There are no comments
Add yours