Sukanta Majumdar: ‘‘বিজেপি করার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে আমাকে জানান’’, বললেন সুকান্ত

‘‘কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার ভাইয়ের যদি ক্ষতি হয়, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলবেন’’ কেন বললেন সুকান্ত 
sukanta-
sukanta-

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোট না দিলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, গোয়ালপোখরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভাই গোলাম রসুল সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এই আবহে উত্তর দিনাজপুর জেলায় দলীয় প্রচারে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলকে এক হাত নিলেন।

কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য কোনও মহিলার যদি লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে নাম বাদ যায়, তাহলে তাঁদের যোগাযোগ করতে বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আদালত যেমন থাপ্পড় মেরে মেরে সেন্ট্রাল বাহিনী দিল, সেই হাইকোর্ট থেকেই আবার থাপ্পড় মেরে মেরে আমরা রাজ্য সরকারকে দিয়ে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারের ব্যবস্থা করব।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার ভাইয়ের যদি ক্ষতি হয়, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলবেন।  সেই জেলার এসপি-কে কোর্টে টেনে নিয়ে গিয়ে চাকরি আবার ফিরিয়ে দেব।’’

উত্তর দিনাজপুরে 'রোড শো' সুকান্ত মজুমদারের

মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের নন্দনগ্রামে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে দলীয় প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি রোড শো-এ অংশগ্রহণ করেন তিনি। এই রোড শো-এ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দুটোকে আলাদা ভাবে দেখছি না। একই অঙ্গে দুই রূপ। হাইকোর্টে থাপ্পড়ের পর থাপ্পড় খেতে খেতে গাল লাল হয়ে গেছে। গালে আর জায়গা নাই। আর কোথায় কোথায় যে মারবে! আরও কয়েকটা থাপ্পড় বাকি আছে।’’

বিহার থেকে ভাড়া করা গুন্ডা ঢুকেছে বলে অভিযোগ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের প্রবেশ প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, ‘‘বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এর আগেও ভোটের সময় ঢুকেছে। উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনের অভিজ্ঞতা তো আছে। তাদের উচিত খুব ভালো করে সেখানে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা, যাতে বহিরাগতরা রাজ্যে ঢুকতে না পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢুকলে বহিরাগত-বহিরাগত বলে চিৎকার করেন। আর যখন বিহার থেকে ভাড়া করা গুন্ডারা ঢুকে উত্তর দিনাজপুরে মারামারি করে, তখন তাদের বহিরাগত মনে হয় না মুখ্যমন্ত্রীর।’’ এবং পাঞ্জিপাড়ায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে গোটা রাজ্য বোম-বন্দুক-কার্তুজের ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। পুলিশ ধরেছে বলে যা দেখতে পাচ্ছেন, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এর থেকে অনেক বেশি তৃণমূলের নেতাদের কাছে আছে। তারা আগামী নির্বাচনে ব্যবহারও করবে, তা আমরা জানি।’’ 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles