তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরে আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঢাকে কাঠি পড়বে। কেতাদুরস্ত জামাকাপড় পরতে, আর নিজেকে সুন্দরভাবে সাজাতে অনেকেই দ্রুত ওজন কমিয়ে একেবারে ফিট (Body Weight) হতে চাইছেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে ওজন কমানোর ইচ্ছে অন্য বিপদ বাড়াচ্ছে না তো?
দ্রুত ওজন হ্রাস অন্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন (Body Weight) কমলে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই দ্রুত রোগা হওয়ার ইচ্ছে যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করেন। ভাত, রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। প্রয়োজনীয় প্রোটিন খান না। আর এই সবের জেরেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, রক্তচাপ কমে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। যে কোনো বড় শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
এছাড়া দ্রুত ওজন কমলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কারণ, দ্রুত ওজন কমালে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের উপরে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
পাশপাশি এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। ওজন সামান্য বেড়ে গেলেও তখন এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। যা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
কীভাবে নিয়ম মেনে ওজন কমবে? (Body Weight)
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন কমানোর পরিকল্পনা করা উচিত নয়। তবে, পুজোর আগে কয়েকটি জিনিস মেনে চললেই শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবারের তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া চলবে না। কিন্তু খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে। পেট ভরে খাবার খাওয়া জরুরি। তাই প্রচুর সবুজ সব্জি যেমন বাঁধাকপি, পালং শাক, গাজর, পেপে, লাউ খেতে হবে। এগুলো ভিটামিন, ফাইবার সমৃদ্ধ। ফলে, শরীরের নানান চাহিদা পূরণ করে।
প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। মটন একেবারেই চলবে না। কারণ মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেয় না। ডিম, সোয়াবিন, মাছ, চিকেন খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে।
তবে, নিয়মিত ফল খেতে হবে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মাল্টা, কিউই, সবুজ আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল খাওয়া দরকার। এতে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা মেটায়। আর ওজন (Body Weight) বাড়তে দেয় না।
তবে, খাওয়ার দিকে নজর দেওয়ার পাশপাশি জরুরি নিয়মিত যোগাভ্যাস। কারণ শারীরিক কসরত নিয়মিত করলে তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীর সুস্থ থাকবে। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়ো নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিকল্পনা মাফিক নিয়মমাফিক জীবন যাপন ওজনে রাশ টানতে সাহায্য করবে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours