মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি বাঘ (Tiger) দেখতে পাওয়া যায় মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। কিন্তু সেই রাজ্যেই এখন বাঘ মৃত্যুর ঘটনা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এমনটাই জানাচ্ছে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির (NTCA) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতে আসছে ৮টি আফ্রিকান চিতা
তথ্যে বলা হয়েছে, বছরের শুরু থেকে ১৫ জুলাই অবধি গোটা দেশে ৭৪ টি বাঘ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছে ২৭টি বাঘ। যা এইসময়ে দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে বাঘ মৃত্যুর সংখ্যা ১৫। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। সেখানে ১১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। আসামে ৫, কেরল এবং রাজস্থানে ৪টি করে, উত্তরপ্রদেশে ৩টি, অন্ধ্রপ্রদেশের ২টি, বিহার, ওড়িশা, ছত্রিশগড়ে ১টি করে বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১১টির মধ্যে সাতটি পুরনিগম বিজেপির! মধ্যপ্রদেশে প্রথম জয় আপের
বাঘ মৃত্যুর কারণ কী?
আধিকারিকদের মতে, বয়সজনিত কারণে, নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে, রোগ, চোরা শিকারিদের হাতে, বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে বাঘের মৃত্যু হয়।
২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ 'টাইগার স্টেট' - এর তকমা ফিরে পায়। অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশন রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে ৫২৬টি বাঘের বাস ছিল। যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সে রাজ্যে চারটি ব্যাঘ্র প্রকল্প রয়েছে। কানহা, বান্ধবগড়, পেঞ্চ, সাতপুরা, পান্না এবং সঞ্জয় দুবরি।
২৭টি বাঘের মধ্যে ৯টি পুরুষ বাঘ এবং ৮টি মহিলা বাঘ ছিল। বাকিদের বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া নেই। এদের মধ্যে কিছু বাঘ শাবকেরও মৃত্যু হয়েছে।
বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বাঘের মৃত্যু হয়েছে তার কারণ এই রাজ্যে বাঘের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি।"
আরটিআই কর্মী অজয় দুবে বলেন, "পান্নায় ১০ বছর আগেও বাঘের দেখা মিলত না। এনটিসিএ রাজ্যকে ব্যাঘ্র প্রকল্প গড়ে তোলার নির্দেশ দেয়। তারপরে চোরা শিকারিদের হাত থেকে বাঘগুলিকে রক্ষা করা খানিকটা হলেও সম্ভব হয়েছে।"
+ There are no comments
Add yours