Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারা কেউ শিক্ষক হতে চাইছেন না! কেন জানেন?

Teachers: স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ কি সম্ভব? সংশয়ে মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারাও...
Madhyamik_Examination_2024
Madhyamik_Examination_2024

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন একটা সময়ে প্রত্যকে মেধাবী পড়ুয়ারা দেখত। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি শুধু এই রাজ্যের আলোচনার বিষয় নয়। ভোটের প্রচারে জাতীয় স্তরে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এখন সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। গতকাল রাজ্যে মাধ্যমিক (Madhyamik Result 2024) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ঝোঁক বেশি। এমন কী বাবা-মা শিক্ষকের পেশায় নিযুক্ত থাকলেও সন্তান আর চায় না শিক্ষক হতে। কিন্তু কেন এই ভাবনার উদয়?

শিক্ষক নয় ডাক্তার হতে চায় ছাত্রী (Madhyamik Result 2024)

এবার মধ্যমিকে (Madhyamik Result 2024) সম্ভাব্য নবম হয়েছে বাঁকুড়ার মেয়ে। নাম অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়। কাটজুড়িডাঙা মিলনপল্লির বাসিন্দা এই ছাত্রী। এই কৃতী ছাত্রী বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। অরুণিমা নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করে বলে, “আমার বাবা-মা দুইজনেই শিক্ষকতা করেন। এক সময় আমি নিজে ভাবতাম শিক্ষিকা হবো। কিন্তু যা রাজ্যের পরিস্থিতি, এই পেশাতে স্বচ্ছ নিয়োগ কীভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই আগামী দিনে ডাক্তারি পড়ারা কথা ভাবছি।” অপর দিকে অরুণিমার মা বলেন, “মেয়ে এক সময়ে শিক্ষিকাই হতে চেয়েছিল। এখন তা আর চাইছে না। যে পথেই যাক, আমাদের সমর্থন থাকবে!”

আরও পড়ুনঃ রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চায় পড়ুয়া

আবার এই জেলার মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2024) মেধা তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে তিনজন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা স্কুলে ছাত্র শৌভিক দত্ত বলে যে চিকিৎসক হতে চায় সে। শৌভিকের বাবা সেচ দফতরের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করেন, মা গৃহবধূ। নিজে ভূগোল, জীববিজ্ঞনে একশে একশ পেয়েছে। এই কৃতী ছাত্র নিজে চিকিৎসক হতে চায়। আবার তালড্যাংরা ফুলমতী হাই স্কুলের সৌমিক খাঁ মাধ্যমিকে দশম স্থানের অধিকারী হয়েছে। তার বাবা তালড্যাংরা গ্রামীণ হাসপাতলের ফার্মাসিস্ট। মা ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স। সৌমিক নিজে আগামী দিনে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চায়। আবার দশমস্থানে থাকা বাঁকুড়ার গড়রাইপুর হাই স্কুলের সৌম্যদীপ মণ্ডলের ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে। এই পথেই তার পড়াশুনার ইচ্ছে রয়েছে। সৌম্যদীপের বাবা একজন শিক্ষক এবং মা হলেন গৃহবধূ। ফলে মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা যে আর শিক্ষকতার দিকে যেতে চাইছে না, তার পিছনে রাজ্যের দুর্নীতি একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন একাংশের মানুষ। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles