Assam CM on Madrasa: মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার 

"মাদ্রাসার শব্দটির অবলুপ্তি ঘটানো উচিত। কোরান পড়়ানো হোক বাড়়িতে..."
sharma
sharma

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসার (Madrasa) অবলুপ্তি ঘটানো উচিত। মুসলমানেরা (Muslims) আগে হিন্দু (Hindu) ছিলেন। দিল্লিতে আরএসএসের (RSS) একটি অনুষ্ঠান ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam CM Himanta Biswa Sarma)। তবে বাড়িতে কোরান পড়ানো যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন হিমন্ত।  

রবিবারের ওই সভায় হিমন্ত বলেন, "মাদ্রাসাগুলি ধর্ম শিক্ষা দিতে পারে। কিন্তু কখনওই আধুনিক শিক্ষা দিতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের যাতে ভবিষ্যতে কিছু করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, সেজন্য স্কুলগুলিতে নিয়ে গিয়ে আধুনিক শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।" তাঁর মতে, যে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে এমন বয়স হওয়া উচিত, যেখানে ব্যক্তিরা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আরএসএসের ওই অনুষ্ঠানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "শিশুদের যদি বলা হয় পড়াশোনা শেষ করার পর তারা ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না, তাহলে তারা আর মাদ্রাসায় যেতে চাইবে না।" এ ধরনের ধর্মীয় বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলেও মনে করেন হিমন্ত।

আরও পড়ুন : একদিনে প্রায় ২৩ হাজার নিয়োগপত্র বিলি আসাম সরকারের

এর পরেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মাদ্রাসা শব্দটির অবলুপ্তি ঘটানো উচিত। যতক্ষণ এই মাদ্রাসা শব্দটি মনে থাকবে, ততক্ষণ শিশুরা কখনওই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না।"  

প্রতিটি শিশুই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের যোগ্য বলেও মনে করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, "আপনি চাইলে বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোরান শেখান। কিন্তু স্কুলে একটি শিশুকে বিজ্ঞান এবং গণিত শেখানো হোক। প্রতিটি শিশুকে বিজ্ঞান, গণিত এবং আধুনিক শিক্ষার অন্যান্য শাখার জ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে।"

আরও পড়ুন : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মাদ্রাসায় পড়া কোনও শিশু যদি মেধাবী হয়, তবে তা তার হিন্দু ঐতিহ্যের কারণে।" তিনি বলেন, "এক সময় সব মুসলমান হিন্দু ছিল।"

বক্তব্যের স্বপক্ষে আসামের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন হিমন্ত। বলেন, আসামের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মুসলিম। এরা তিনভাগে বিভক্ত। আদিবাসী মুসলমান, যাঁদের সংস্কৃতি আমাদের মতো, ধর্মান্তরিত মুসলমান, আমরা তাঁদের দেশি মুসলমান বলে ডাকি। তাঁরা এখনও উঠোনে তুলসি গাছ রাখেন। আর রয়েছে অভিবাসী মুসলমান, যাঁরা নিজেদের মিয়া মুসলিম বলে পরিচয় দেন।

হিমন্ত বলেন, লাচিত বোরফুকনের মতো বীরদের সাহসিকতার কারণে আসাম অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি ইসলামিক আক্রমণকারীরা। যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল ইসলামিক সভ্যতার দ্বারা অস্পৃশ্য থেকে যায়, আসামকে তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া উচিত বলেই মন্তব্য করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles