মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নন, মহারাষ্ট্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর নাম একনাথ শিন্ডে।
এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নিজে। তিনি বলেন, হিন্দুত্ব ও বালাসাহেবের আদর্শের পাশাপাশি, আমাদের বিধায়কদের কেন্দ্রগুলিতে উন্নয়নের অ্যাজেন্ডাকে মাথায় রেখেই একনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধে সাড়ে সাতটায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি।
পরতে পরতে নাটক। প্রতি মুহূর্তে পট-পরিবর্তন। মহারাষ্ট্রের মহাসংকট যে কোনও বলিউড ছবিকেও হার খাওয়াবে। এদিন দুপুর পর্যন্ত যে খবর আসছিল, তা হল, ফড়নবিশ হবেন মুখ্যমন্ত্রী, আর একনাথ শিন্ডে হবেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফড়নবিশের ঘোষণা কার্যত সকলকে চমকে দিয়েছে। তিনি এও জানিয়ে দেন, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভাতেও তিনি থাকছেন না। বললেন, আমি বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করব।
তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান একনাথ শিন্ডে। বললেন, এটা তাদের উদারতা। আমার থেকে তাদের সমর্থন, আসন-শক্তি বেশি। তা সত্ত্বেও আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বানালেন। এটাই বা কে করেন? তিনি যোগ করেন, এমভিএ সরকারে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। বললেন, বালা সাহেবের হিন্দুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
ঘোষণার ঠিক আগেই শিন্ডে ও ফড়নবিশ একসঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল কোশিয়ারিরর কাছে সরকার গঠনের দাবি পেশ করেন। সেখানেই ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে মিষ্টিমুখ করান রাজ্যপাল। এদিকে, শিন্ডের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হতেই রাস্তায় নেমে উৎসব পালন করতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা।
এদিকে সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপির ২৫ ও শিণ্ডে শিবিরের ১৩ জন পেতে পারেন মন্ত্রিত্ব। এদিন সন্ধেয় মহারাষ্ট্রে ফের বৈঠক রয়েছে বিজেপি-র। নয়া সরকার গড়ার আগে সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে একাধিক বিষয়ে। কাকে কোন দফতর দেওয়া হবে, সেই নিয়েও বিশদ আলোচনা হতে চলেছে ওই বৈঠকে।
দুসপ্তাহ ধরে টানাপোড়েনের শেষে গতকাল রাতে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে প্রমাণ করা অসম্ভব, তা কার্যত মেনে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours