মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনও এমন একটি স্কুলের কথা শুনেছেন, যেখানে শুধুমাত্র একজন ছাত্র এবং সেই ছাত্রের জন্য শুধুমাত্র একজনই শিক্ষক আছে? সারা দেশে যখন স্কুলের শিক্ষা নিয়ে এত অভিযোগ, কোথাও পর্যাপ্ত সংখ্যক পড়ুয়া নেই তো কোথাও আবার অভাব রয়েছে শিক্ষকের। সেখানেই দেশের এক প্রান্তে এমনও একটি স্কুল রয়েছে, যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১। আবার এই ছাত্রকেই পড়াতেই রোজ এক শিক্ষক ১২ কিমি চালিয়ে আসেন স্কুলে। ফলে এর থেকেই প্রমাণ হয় যে, চেষ্টা ও ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। তবে অবাক হলেও এটিই সত্যি। একজন শিক্ষক ও একজন ছাত্রকে নিয়েই মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এভাবেই চলছে পড়াশোনা।
কেন এমন অবস্থা এই সরকারি স্কুলের?
মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার সবথেকে ছোট গ্রাম হল গণেশপুর। এই গ্রামে জনসংখ্যা মাত্র ১৫০। গ্রামে রয়েছে একটিই জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়ানো হয়। কিন্তু যেখানে গ্রামের জনসংখ্যাই ১৫০, সেখানে খুদে পড়ুয়া আর ক’জন থাকবে! আপাতত গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া রয়েছে একজনই। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সেই ছাত্র। পড়াশোনায় নাকি বেশ ভাল। তাকে পড়াতেই ১২ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসেন শিক্ষক কিশোর মানকর। সব বিষয়েই পড়ান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিগত দুবছর ধরে এই স্কুলে ওই ছাত্রকে পড়াচ্ছেন।
Maharashtra | A Zilla Parishad primary school in Ganeshpur village of Washim district runs only for one student
— ANI (@ANI) January 23, 2023
Population of the village is 150. There is only one student enrolled in the school for the last 2 years. I'm the only teacher in school: Kishore Mankar, school teacher pic.twitter.com/h6nOyZXlDf
একমাত্র পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি এই ৮ বছর বয়সী কার্তিক সেগোকারকে। শুধুমাত্র তাঁর জন্যই চালু রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। একটি স্কুলে যা যা নিয়ম পালন করা হয়, তা সমস্ত কিছুই অনুসরণ করা হয় এই স্কুলে। সকালে স্কুল শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, এরপরে প্রার্থনার পর ঘড়ি ধরে ক্লাসও শুরু হয়। স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়ানোর ব্যবস্থাও আছে। একজন ছাত্রের জন্যই রান্না হয় নিয়মিত। স্কুলের নিয়মে কোনও ফাঁকি নেই।
শিক্ষক কিশোর মানকার বলেন, “গত ২ বছর ধরে স্কুলে শুধুমাত্র একজন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। আমিই স্কুলে একমাত্র শিক্ষক। আমি তাকে সব বিষয়ে পড়াই। সকাল ১০:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত, আমি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া সহ সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলি। ছাত্রের জন্য মিড-ডে মিলসহ সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়।”
+ There are no comments
Add yours