Suvendu Adhikari: ‘বাংলার লজ্জা’! প্রাথমিকে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ‘সরকারি শিক্ষা বন্ধের চক্রান্ত’, তোপ শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: প্রতিক্রিয়ায় ঠিক কী বললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু?
mamata-suvendu
mamata-suvendu

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন উত্তাল রাজ্য, সেই আবহেই বাঁকুড়ায় বিতর্কিত পদক্ষেপ নিল পুলিশ। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক শিক্ষায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বাঁকুড়া পুলিশের তরফে 'অঙ্কুর' প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। তার আওতায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস নেবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্কুল শিক্ষাকে বেসরকারি করার জন্য ফন্দি এঁটেছেন। আর এ নিয়ে ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু।

ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দুর

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই চার লক্ষ কমেছে। রাজ্যের ৮,২০৭টি সরকার পরিচালিত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০-এর কম। প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিপূরক ক্লাস করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। যার অর্থ, রাজ্য সরকার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা একেবারে বন্ধ করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। এর পাশাপাশি ট্যুইটে একটি চিঠিও শেয়ার করেছেন। দেখা গিয়েছে, এই সরকারি চিঠিটি বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জেলাশাসককে লিখেছেন। যাতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিক পুলিশরা ‘অঙ্কুর’ নামে এক প্রকল্পের আওতায় বাঁকুড়ার ৪৬টি স্কুল বা কমিউনিটি সেন্টারে শিশু পড়ুয়াদের পরিপূরক ক্লাস করাবে। জেলাশাসককে এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছেন পুলিশ সুপার।

পুলিশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা শিশুদের ইংরাজি আর অঙ্ক শেখাবে এটা একবিংশ শতকে পশ্চিমবাংলার লজ্জা। এখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। সরকার শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে না পারলে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করুক।”

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

রাতে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমাদের কাছে মতামত চাওয়ার জন্য ওঁদের বলা হয়েছে। তার পর দেখা যাবে এটা চালু হবে কি না। এখন চালু করা যাবে না।”

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles