Manik Bhattacharya: আত্মীয়ের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি! ইডির জেরায় কী বললেন মানিক ভট্টাচার্য?

এই টাকার উৎস কী, তা নিয়ে তিনি এখনও মুখ খোলেননি পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক।
Manik-Bhattacharya-2col
Manik-Bhattacharya-2col

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (TET Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। এই মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের নজরে আগের থেকেই রয়েছে মানিক ও তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি। এবারে তদন্তকারী দলের স্ক্যানারে এসেছে মানিকের আত্মীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। আদালতে পেশ করা রিমান্ড অ্যাপ্লিকেশনে ইডি দাবি করেছে যে মানিক ভট্টাচার্যের আত্মীয়দের নামে বহু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে তারা (ED)। ফলে ইডির নজরে এবার আত্মীয়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে হদিশ পাওয়া গেছে ৮ কোটি টাকার। আর এই টাকার উৎস কী, তা নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।

গত ১১ তারিখ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করে ইডি। এরপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় কোনও তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আজ আবার ফের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার হদিস পেল ইডি। আর এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অ্যাকাউন্টের কথা অস্বীকার করেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক।

আরও পড়ুন: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তবে প্রথমে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের টাকার ব্যাপারে অস্বীকার করলেও পরে অ্যাকাউন্টের নথি দেখানোর পর তিনি (Manik Bhattacharya) মেনে নেন। কিন্তু এই টাকার উৎস কী, তা নিয়ে তিনি এখনও মুখ খোলেননি। সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসাররা। অন্যদিকে, কয়েকদিন আগেই  কেন্দ্রীয় এজেন্সি আগেই দাবি করেছিল, মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে মিলেছে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর এই টাকা নিয়েও ইডিকে প্রথমে জানাননি মানিক ভট্টাচার্য।

তবে ইডির আধিকারিকরা সন্দেহ করেছে যে, প্রাইমারির চাকরি বেচা টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়েছেন মানিক (Manik Bhattacharya)। আর এর সঙ্গে কিছু সংস্থা ও ব্যক্তিরও যোগ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। যারা নানা কারণ দেখিয়ে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে মানিকের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতেন।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles