Manipur Violence: জ্বলছে মণিপুর! দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ, অশান্তির কারণ ঠিক কী?

মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মৈতেই। যদিও গোটা রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় বাস তাদের...
manipur_f
manipur_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ। শর্তসাপেক্ষে এই নির্দেশ জারি করেছেন মণিপুরের রাজ্যপাল। সমস্ত জেলাশাসক, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে এই নোটিশ ইস্যু করার জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল। ইম্ফল উপত্যকায় মৈতেই (Meitei) জনজাতির তরফে দাবি তোলা হয়েছে, তাদের তফশিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। যদিও মৈতেইদের এই দাবি মানতে পারছেন না স্থানীয় কুকি সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। তা থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। তার জেরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে হিংসা।

মণিপুরে হিংসার (Manipur Violence) কারণ...

মণিপুরে এথনিক গোষ্ঠী মৈতেই। আর কুকি হল অন্যতম একটি বৃহত্তম উপজাতি। বুধবারের হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনা এবং অসম রাইফেল পার্সোনাল। হিংসায় (Manipur Violence) রাশ টানতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন জেলায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। মণিপুরে ১৬টি জেলা রয়েছে। ইম্ফল উপত্যকায় মৈতেইরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। এঁরা হিন্দু। উপত্যকার পাঁচটি জেলায়ই এঁদের আধিপত্য রয়েছে। যদিও পাহাড়ি জেলাগুলিতে নাগা এবং কুকি উপজাতিদের আধিপত্য।এই কুকি এবং নাগারা হলেন খ্রিস্টান। পাহাড়ের চার জেলায় কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মৈতেই। যদিও গোটা রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় বাস তাদের। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ৩৫টি উপজাতি সম্প্রদায়ের বাস। এদের সিংহভাগই নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের। রাজ্যের ১০ শতাংশ এলাকা বাদে বাকি অংশে বাস করেন এই ৩৫টি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।

আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

অল মণিপুর ট্রাইবাল ইউনিয়নের (Manipur Violence) সাধারণ সম্পাদক কেলভিন নেইশিয়াল বলেন, এই প্রতিবাদের নেপথ্যে প্রধান কারণ হল মৈতেইরা তফশিলি উপজাতির মর্যাদা চাইছে। তারা এগিয়ে থাকলেও কীভাবে তাদের এসটির মর্যাদা দেওয়া হবে? তিনি বলেন, ওরা যদি এসটির মর্যাদা পায়, তাহলে আমাদের সব জমি কেড়ে নেবে। কেলভিন বলেন, কুকিরা খুব গরিব। তাই তাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। তাদের জন্য কোনও স্কুল নেই। ঝুম চাষের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে তারা। যদিও মৈতেইদের দাবি, এটা কোনও ইস্যুই নয়। আসল কারণটা হচ্ছে, রাজ্য সরকার যে রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে চাইছে, তাতেই ভয় পেয়েছে কুকিরা। তার জেরেই অশান্তির সূত্রপাত।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles