Maoists in Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ৭ মাওবাদী, উদ্ধার অস্ত্র

ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী
maoist_f
maoist_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল সাত মাওবাদী (Maoists in Chhattisgarh)। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের একটি দল সে রাজ্যের নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া জেলার সংযোগস্থলে জড়ো হয়েছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর আসে ছত্তিশগড় জেলা পুলিশের কাছে। তারপরে এই সমস্ত জায়গায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গ্রুপ এবং আইটিবিপির যৌথ বাহিনীর সঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। জানা গিয়েছে, অবুঝমার এলাকায় যৌথ বাহিনী ঢুকতেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীদের দলটি। পাল্টা জবাব দেন যৌথ বাহিনীর জওয়ানরাও। দু পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই শুরু হয়। এই সংঘর্ষেই সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি তিন জওয়ান আহত হয়েছেন এই সংঘর্ষে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে অস্ত্র উদ্ধার

এর পাশাপাশি ওই স্থান থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে নারায়ণপুরের এসপি প্রভাত কুমার জানিয়েছেন। শুক্রবার রাত থেকেই এই সংঘর্ষ (Maoists in Chhattisgarh) শুরু হয়। শনিবারেও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে যৌথ বাহিনী। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি সপ্তাহের ২ জুন ওই নারায়ণপুরেরই দুরমি নামের একটি গ্রামে মোবাইল টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা। তারপর থেকেই সেখানে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এই আবহে সাত মাওবাদীর মৃত্যু ঘটনা সামনে এল।

মাওবাদী দমনে কড়া কেন্দ্র সরকার 

প্রসঙ্গত, গত মাসেও ২৫ মে বিজাপুরের এবং কামকানার জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে দুইজন মাওবাদী (Maoists in Chhattisgarh) নিহত হয়। সম্প্রতি মাওবাদীদের উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছিলেন যে মাওবাদী সমস্যার মোকাবিলায় বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র এবং আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশ থেকে এই সমস্যার সমাধান হবে। নিজের সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ আরও জানিয়েছিলেন যে সম্প্রতি প্রায় ৩৭৫ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, বর্তমানে এই সমস্যা ঝাড়খন্ড, বিহার, তেলেঙ্গনা, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ  মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles