মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৬ ফেব্রুয়ারি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক (Turkey Earthquake) এবং সিরিয়া। তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে প্রায় ছয় হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বড় ভূমিকম্পের পর শতাধিক ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয় সে দেশে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি মানুষের।
এ নিয়ে দুই দেশে শোকের পরিবেশের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকার খবর। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের (Turkey Earthquake) দক্ষিণে অবস্থিত হাতাইয়ে। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশে ধসে পড়া এক বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১২৮ ঘণ্টা পর দু মাসের জীবিত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে হাত তালি এবং উল্লাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত উদ্ধারকর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেও তুরস্কে (Turkey Earthquake) ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর শনিবার অনেককে জীবিত উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়, শনিবার উদ্ধার হওয়া লোকজনের মধ্যে দুই বছরের শিশু, ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও ৭০ বছরের বৃদ্ধাও রয়েছেন।
তুরস্ক ও পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় আঘাত হানা ভুমিকম্পটির, রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৮। এই ভূমিকম্পকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০০৩ সালে ইরানে এক ভূমিকম্পে প্রাণ গিয়েছিল ৩১ হাজার মানুষের।
আরও পড়ুন: কানাডার আকাশে ওড়া 'রহস্যময় বস্তু' গুলি করে নামাল মার্কিন ফাইটার জেট
এই ভূমিকম্পের কারণে কেবল তুরস্কেই (Turkey Earthquake) মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৮৪৮ জনের। শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আর সিরিয়ায় প্রাণ গিয়েছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের।
বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। ২০০৩ সালে ইরানে ভূমিকম্পের বলি হয়েছিলেন ৩১ হাজার মানুষ। অনেকের মতে, সেই নজিরও ভেঙে দিতে চলেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া।
+ There are no comments
Add yours