মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার পুরুলিয়ার লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের বিজেপি-র (BJP) হয়ে রাজ্যে ভোটের ময়দানে নেমেছেন মহাগুরু। বাঙলায় বিজেপির বাজিও তিনি। সেই মতোই বাঙালি আবেগে শান দিয়ে পুরুলিয়া থেকে প্রচার শুরু করলেন বঙ্গসন্তান মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাংগঠনিক বৈঠক ও পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন রয়েছে বাঁকুড়ায়। তাঁকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুরে আজ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। এরপর শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন মিঠুন। মেনুতে রয়েছে ভাত-ডাল, সবজি, আলু পোস্ত, মাছ। নিজেই রান্না করেছেন বিধায়ক। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠে মিঠুনের সভা। আগামীকাল বিষ্ণুপুরের সোনামুখীতে কর্মসূচি রয়েছে মহাগুরুর।
কী বললেন
বুধবার পুরুলিয়ার জনসভায় আগাগোড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলকে নিশানা করে যান মিঠুন। এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন ছোড়েন, "আমার চপ বিক্রি হচ্ছে না। কোনও কাজও হচ্ছে না, তাহলে আমি কী করব দিদি? " সত্যিই চপ বিক্রি হচ্ছে না নাকি, তাঁর কাছে জানতে চান মিঠুন। জবাবে ওই কর্মী বলতে শুরু করেন, "দিদি বলেছিলেন চপ বিক্রি করে...।" কথা শেষ করার আগে তাঁকে থামিয়ে মিঠুন বলে ওঠেন, "এ বার আমি একটা কথা বলি, কাউকে ছোট করে কোনওদিন কথা বলি না। আজও বলছি না। যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে।"
আরও পড়ুন: 'ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য', হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা
জিএসটি বাবদ প্রাপ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সেই নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মিঠুন। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মীরা। জবাবে মিঠুন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এই ঘর যোজনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। সেটা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। ব্যাঙ্কে তার একটা নাম থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু টাকাটা কোথায় যাবে? এখানে তো অলরেডি তার উপরে পোস্টার মেরে দিয়েছে! বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে! সেন্টার বলছে, আগে হিসেব দিন। টাকাটা কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এটা সরকারের পয়সা। পাবলিকের পয়সা। এটা তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।"
বাঙালি খাবার ভীষণ প্রিয়
পুরুলিয়ায় এদিন কাঁসার বাসনে বাঙালি খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ডিস্কো কিং। একেবারে বাঙালি মেনু। মাছ-ভাতে বাঙালি। এ প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বাঙালি খাবার আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা খাবার নিয়ে কথা বলব না তো কি বালি, কয়লা, গরু নিয়ে কথা বলব!’’
+ There are no comments
Add yours