PM Modi: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

মোদি সরকার দারিদ্রতা দূরীকরণের দশটি ধাপই পার করতে সক্ষম হয়েছে, বলছে রিপোর্টই
modi_9_years
modi_9_years

২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি জিতে আসেন ২০১৯ সালে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল 'আচ্ছে দিন আসছে'। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই 'আচ্ছে দিন'? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

'সাফল্যের ৯ বছর'-১

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পরপরই দারিদ্রতা দূরীকরণে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখা গেছে দেশজুড়ে। একসময় ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে বাজিমাত করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেসের জমানায় সেই স্লোগান নিছকই ফাঁকা আওয়াজ ছিল। তাই তো রাজীব গান্ধীকে পর্যন্ত বলতে হয়েছিল, ‘‘আমি ১ টাকা পাঠালে মানুষের কাছে পৌঁছায় ১৫ পয়সা।’’ অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতির কথা তখন তাদের প্রধানমন্ত্রীকেও স্বীকার করতে হয়েছিল।

চিত্র বদলাতে থাকে ২০১৪ সাল থেকে। অনেকেই মনে করেন, আজ দারিদ্রতা দূরীকরণের একাধিক কর্মসূচির বাস্তবায়নের সাক্ষী ভারতবাসী। ২০২৩ সালে ৯ বছর সম্পূর্ণ করল মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ৯ বছরে একাধিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য। যেমন মুদ্রা যোজনা, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া এসবই সারা দেশে বেকারদের মধ্যে কর্মসংস্থানের স্রোত তৈরি করতে পেরেছে, এমনটাই বলছেন অর্থনীতিকরা। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি মুদ্রা যোজনার আওতায় ৪০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি উদ্যোক্তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে তুলে আনার জন্য এটি মোদি সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বিপদ সঙ্কুল নর্দমা এবং সেফটি ট্যাংকগুলি পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো হয়েছে, যাতে মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমে এবং সাফাই কর্মীরা মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারেন। জনজাতি সমাজকে সম্মান জানাতে নভেম্বরের ১৫ তারিখ ভগবান বীরসা মুন্ডার জয়ন্তীকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে মোদি (PM Modi) সরকার। 'ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডিং'-এর একটি সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, মোদি সরকার দেশের চরম দারিদ্রতাকে মেটাতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি 'মাল্টি ডাইমেনশনাল প্রভার্টি ইনডেক্স' যা প্রকাশ করে 'ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম' তাদের মতে, মোদি সরকার দারিদ্রতা দূরীকরণের দশটি ধাপই পার করতে সক্ষম হয়েছে। মোদি সরকারের অন্যতম নীতি হল 'অন্ত্যোদয়', যার অর্থ সমাজের সব থেকে পিছনে থাকা ব্যক্তিটির কাছে যতক্ষণ না পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছাতে পারছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিকাশকে সম্পূর্ণ বলা যাবে না।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক গত ৯ বছরে দারিদ্রতা দূরীকরণে মোদি সরকারের কিছু সাফল্য

১) ৮০ কোটি মানুষ করোনার সময় থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন।

২) ১১.৮৮ কোটি মানুষের ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার।

৩) প্রায় ৪ কোটি গরিব মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।

৪) ১১.৭২ কোটি মানুষের গৃহে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে শৌচালয় স্থাপন করা গেছে।

৫) ৩৪.৪৫ লক্ষ ফুটপাথ ব্যবসায়ীকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে PM SVANidhi যোজনার মাধ্যমে।

৬) ৩৯.৬৫ কোটি টাকার ঋণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

৭) পিছিয়ে পড়া জনজাতি সমাজের জাতীয় কমিশনগুলিকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

৮) লকডাউনের সময় ২০ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো হয়েছে।

৯) ৭,৩৫১ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সমাজের মানুষকে, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে।

১০) কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমানে ৬০ শতাংশ মন্ত্রীই হলেন তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজভুক্ত।

১১) দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় আগের চেয়ে পাঁচগুণ স্থাপন করা হয়েছে সারা দেশে।

১২) ৪৮.২৭ কোটি ভারতীয়র জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

১৩) ২৯.৭৫ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

১৪) ১৩.৫৩ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমার আওতায় আনা হয়েছে।

১৫) ৩৭ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

১৬) ২.৮৬ কোটি মানুষের বাড়িতে সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে।

১৭) ৯.৬ কোটি মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এলপিজি গ্যাস কানেকশন দেওয়া হয়েছে।

১৮) ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য 'দ্য ট্রান্সজেন্ডার পার্সন অ্যাক্ট ২০১৯' পাশ করা হয়েছে।

১৯) ড্রাগের ছায়া থেকে সমাজকে বাঁচাতে, নেশামুক্ত ভারত অভিযান করা হয়েছে।

২০) ২৮.৮৫ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকদের পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

২১) প্রধানমন্ত্রীর শ্রমযোগী মানধন পেনশন যোজনার মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৪৯ .২৯ লক্ষ শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাঁরা তাঁদের ৬০ বছর বয়স হলে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।

চলবে....

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles