মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে বক্তব্য রাখলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। বেশ কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে রয়েছেন সঙ্ঘ প্রধান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় সঙ্ঘের (RSS) নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। এদিন শহীদ মিনারে নেতাজী জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মোহন ভাগবত তাঁর ভাষণে বলেন, " আমরা প্রত্যেকেই কারও না কারও হাত ধরে সঙ্ঘে এসেছি। সমাজ গঠনের একটা ব্রত পালন করতেই আমাদের সঙ্ঘে আসা। এই জীবন ব্রত পালন করার সময় সমাজের জন্য, দেশের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মরণ করা এবং সেই আদর্শকে জীবনে পালন করা আমাদের কর্তব্য"। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নেতাজীর ভ্রাতুষ্পুত্র অর্ধেন্দু বসু। তিনি মুম্বই নিবাসী। জানা গেছে সকাল ৯ টা নাগাদ এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। সঙ্ঘের (RSS) প্রাত্যহিক শাখার মতোই সকল অনুষ্ঠান হয় এদিন শহীদ মিনারে। প্রত্যেক স্বয়ংসেবকই তাঁদের নিজেদের সংগঠনের পোশাকেই হাজির ছিলেন এদিন। সাদা জামা, খাকি প্যান্টে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এদিন আরও বলেন, "দেশগৌরব নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্মরণ করার কাজ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) প্রথম করছেনা। প্রতি বছরই কলকাতাতে সঙ্ঘ নেতাজীকে স্মরণ করতে নানা ছোটবড় অনুষ্ঠান করে থাকে। কোনওবছর শাখাতে ছোট করে হয় তো কোনওবছর সড়কে পদযাত্রা। কিন্তু নেতাজী স্মরণ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) অন্যতম একটি প্রধান কর্মসূচী। এর আগেও নেতাজী জয়ন্তীতে কলকাতায় আমি হাজির থেকেছি"।
সঙ্ঘ প্রধানের মতে, সঙ্ঘ (RSS) আজ সারা দেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে, তাই সংগঠনের নানা কর্মসূচী আজ সমস্ত স্তরের মানুষ জানতে পারছে। কিন্তু যখন সঙ্ঘ ছোট আকারে ছিল তখনও এমন অনুষ্ঠান করা হত। যাঁদের ত্যাগ তপস্যার ওপর দেশ সমাজ দাঁড়িয়ে আছে, সঙ্ঘ (RSS) তাঁদের প্রণাম জানায়।
সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তাও দিলেন সঙ্ঘপ্রধান
এদিন শহীদ মিনারে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তাও দিলেন মোহন ভাগবত। তিনি এক্ষেত্রে উদাহরণ দিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে। সঙ্ঘ প্রধান বলেন, " নেতাজী বলতেন নতুন ভারতের ভিত নির্মাণ করতে পারবে আদর্শবান ব্যক্তিরাই। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের আদর্শবান ব্যক্তিরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তবেই গড়ে উঠবে নতুন ভারত। নেতাজীর এই কথাই তো সঙ্ঘ বলে আসছে এতদিন যাবৎ। সঙ্ঘের যে কোনও কর্মীকে জিজ্ঞাসা করুন, সঙ্ঘের কাজ সম্পর্কে , উত্তর পাবেন ব্যক্তি নির্মাণের মধ্য দিয়ে দিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ। অনেকে বলেন সঙ্ঘের শাখায় কী হয়? শাখা করে কী হবে? এভাবেই তো মানুষ তৈরি হবে। যেমনটা নেতাজী চেয়েছিলেন। শাখাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়, শারীরিক অনুশীলন করানো হয়। শাখার রীতিই হল একসঙ্গে চলা, একসঙ্গে বলা একসঙ্গে হাত ওপর নিচে করা। এতেই তো তৈরি হয় একতা। এটাই তো সামুহিকতা"। সঙ্ঘপ্রধান আরও বলেন, নেতাজী বলতেন এদেশে একা একা সাধনা অনেক হয়েছে, এবার দরকার ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশমাতৃকার সাধনা। মাতৃভূমির সাধনা ছাড়া সবকিছুই বৃথা। সঙ্ঘপ্রধানের মতে, শুধুমাত্র নিজেদের সংগঠন মজবুত করতেই সঙ্ঘ কাজ করেনা। সঙ্ঘের কাজ হল পুরো সমাজকেই সংগঠিত করা। ঐক্যবদ্ধ করা। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অভ্যাস তাই আমাদের শিখতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours