Chandrayaan-3: চাঁদের আরও কাছে! বৃত্তাকার কক্ষপথে চন্দ্রযান ৩, কী বলল ইসরো?

ISRO: বৃহস্পতিতেই প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হবে ল্যান্ডার 'বিক্রম', জানাল ইসরো
chandrayaan3-lbm1
chandrayaan3-lbm1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সফল ভাবে করে ফেলল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার পরই চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩, আশা করছে ইসরো। ১৬ অগাস্ট সফলভাবে কক্ষপথ উত্তোলনের কাজ সফল করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইসরোর দেওয়া খবর অনুসারে, এখন ১৫৩ কিমি x ১৬৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে চন্দ্রযান ৩। এর আগে সোমবার একবার কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদের আরও কাছে এগিয়ে যায় চন্দ্রযান। 

ইতিহাসের পথে ইসরো

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ১৭ অগাস্ট, প্রপালশন মডিউল থেকে পৃথক হয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সহজ কথায় বলতে গেলে চন্দ্রযান-৩ থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। তারপর ২৩ অগাস্ট পালকের মতো হালকা স্পর্শে চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান ৩। শেষে ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানো হবে চন্দ্রযান ৩ কে। অতীতে অত্যন্ত দুর্গম খানাখন্দে ভরা ওই এলাকায় বিশ্বের কোনও মহাকাশযান অবতরণ করেনি। ফলে সেখানে নয়া আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। চন্দ্রযান ৩ মিশন সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলস্টোন স্থাপন করতে পারবে ইসরো। তবে সেখানকার মাটি আক্ষরিক অর্থেই ডেলিকেট অর্থাৎ অত্যন্ত নরম। মাটি স্পর্শ করে অবতরণ বা ল্যান্ড করাই সেখানে এক বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন চাঁদে মহাকাশযানের সফল অবতরণ করিয়েছে। তবে তা হয়েছে চাঁদের উত্তর মেরুতে। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে চলেছে বিশ্বের কোনও মহাকাশযান। ইসরো জানিয়েছে, আগে থেকে চন্দ্রযান-৩ এর জন্য যে অরবিট রিডাকশন ম্যান্যুভার পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই পথেই সফলভাবে অগ্রসর হয়েছে ভারতের মহাকাশযান। 

আরও পড়ুন: চাঁদেও ট্রাফিক জ্যাম! চন্দ্রযান-৩ ছাড়াও কক্ষপথে একাধিক স্যাটেলাইট

ইসরোর স্বপ্নের উড়ান

উল্লেখ্য, মাত্র ৬০০ কোটি টাকায় চন্দ্রযান ৩ মিশন পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর স্বল্প ব্যয়ে এই স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি দেওয়া স্বপ্ন সত্যি করার জন্য সমস্ত দেশের থেকে প্রশংসা কুড়োচ্ছে ভারত। ইসরোর এক আধিকারিকের কথায়, "মিতব্যয়ী উদ্ভাবনী তত্ত্বে এই পুরো মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অত্যন্ত অল্প টাকা খরচ করা হয়েছে। চাঁদে পৌঁছতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগলেও জ্বালানি এবং টাকা যাতে সাশ্রয় করা সম্ভব হয় সেই চেষ্টা করা হয়েছে।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles