মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কের (Kuno National Park) আশপাশের হাজারেরও বেশি কুকুরকে দেওয়া হল অ্যান্টি র্যাবিস প্রতিষেধক (Anti Rabies Vaccine)। এই পার্কেই আগামী সপ্তাহে আফ্রিকা থেকে চিতা (cheetah) নিয়ে আসা হচ্ছে। ইন্ডিয়াজ অ্যাম্বিসাস প্রোজেক্টে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে ওই চিতাগুলিকে। নবাগত অতিথিরা যাতে সংক্রমিত না হয়, সেই কারণেই কুকুরদের দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টি র্যাবিস প্রতিষেধক।
অগাস্টের ১৭ তারিখে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিতা পুররুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও।
আরও পড়ুন : নিজের জন্মদিন মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানে কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী, ছাড়া হবে ৫টি চিতা
এই পার্ক লাগোয়া এলাকায় বসতি রয়েছে। তাই অনেকের বাড়িতেই রয়েছে পোষ্য কুকুরও। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার পিকে ভার্মা বলেন, এক হাজারের বেশি পোষ্য এবং রাস্তার কুকুরকে অ্যান্টি র্যাবিস প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই অভিযান হয়েছে। চিতা সহ এই পশু সংরক্ষণ কেন্দ্রের অন্য প্রাণীরা যাতে নিরাপদে থাকে, তাই এই ব্যবস্থা। চিতা কুকুর শিকার করতে পারে ভেবে তাদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি বলেই জানান তিনি। ভার্মা বলেন, সাধারণত একটি চিতা কোনও শিকার হত্যা করলে তার অর্ধেকটা খেয়ে চলে যায়। পরে খিদে পেলে ফের আসে বাকিটা খেতে। ইতিমধ্যে কোনও পাগলা কুকুর যদি ওই মৃত আধখাওয়া পশুর দেহ খায়, তাহলে পরে ওই পশুর দেহ খেলে সংক্রমিত হতে পারে চিতা। এভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে গোটা জঙ্গলে। ভার্মা বলেন, যদি কোনও পাগলা কুকুর জঙ্গলের আশপাশের গবাদি পশুকে কামড়ায়, ওই গবাদি পশুদের যদি কোনও চিতা শিকার করে, তাহলে ওই চিতারাও সংক্রমিত হয়ে পড়বে। সেই একটি চিতার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে বাকি চিতাদের মধ্যে। তিনি জানান, এপ্রিলে শুরু হওয়া প্রতিষেধকদান অভিযান প্রায় শেষের মুখে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours