Mukutmanipur: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়েই হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে বাঁকুড়া জেলার মুকুটমণিপুর

চাঁদের রুপোলি আলোয় স্নান করা মুকুটমণিপুরকে দেখেছেন কখনও?
Mukutmanipur
Mukutmanipur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বুকে যদি এক টুকরো স্বর্গ বলে কোনও জায়গা থেকে থাকে, তবে নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায় সেই জায়গাটির নাম "মুকুটমণিপুর" (Mukutmanipur)। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার এক ছোট্ট, নির্জন পর্যটন কেন্দ্র এই মুকুটমণিপুর। শুধুমাত্র আপন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়েই এই মুকুটমণিপুর হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে যে কোনও প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকের। একদিকে কংসাবতী বা কাঁসাই নদী, অপর দিকে ছোট ছোট পাহাড়ের সারি, অগভীর বনানী, নীল আকাশ---। আর কী চাই সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকের? আর যদি হয় পূর্ণিমা রাত, তাহলে তো আর কথাই নেই। চাঁদের রুপোলি আলোয় স্নান করা মুকুটমণিপুর তখন "কল্প লোকের গল্প গাথা"।

পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা অপূর্ব স্থান

একই সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় কাঁসাই নদীর ওপর প্রায় ১১ কিমি দীর্ঘ ও ৩৮ মিটার উঁচু বাঁধটি, ৪ কিমি দূরে অম্বিকা নগরে দেবি অম্বিকার প্রাচীন মন্দির। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসুন প্রায় ৫৯ কিমি দূরে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম "সুতান", প্রায় ৪০ কিমি দূরে ঘন অরণ্য পরিবৃত "রানি বাঁধ", প্রায় ৪৩ কিমি দূরে পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা এক অপূর্ব সুন্দর স্থান "ঝিলিমিলি" প্রভৃতিও (Mukutmanipur)।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

যাতায়াত--কলকাতার ধর্মতলার শহিদ মিনার বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur)। কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ২৪৪ কিমি। বাসে সময় লাগে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা। এছাড়া ট্রেনে বাঁকুড়া অথবা বিষ্ণুপুর এসে সেখান থেকে বাসে যাওয়া যায় মুকুটমণিপুর। দূরত্ব বাঁকুড়া ৫৬ এবং বিষ্ণুপুর ৮২ কিমি । প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি কলকাতা থেকে মুকুটমণিপুর গামী সব বাসই যাচ্ছে বাঁকুড়া জেলার দুটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বিষ্ণুপুর এবং জয়পুর ফরেস্টের ওপর দিয়ে ।
থাকা-খাওয়া--মুকুটমণিপুরে বেশ কিছু হোটেল, লজ রয়েছে থাকা এবং খাওয়ার জন্য। আবার প্রয়োজন মনে করলে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে থেকেও ঘুরে নেওয়া যায় মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur)।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles