মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে ফের পুরুলিয়ায় বিজেপি (BJP) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। সোমবার এই জেলায় যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই এদিন সকালে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়া মানবাজার-২ ব্লকের বোরো থানার কেন্দাডি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বঙ্কিম হাঁসদা। তাঁর বাড়ি কেন্দাডি গ্রামে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মানবাজারের হেঁসলা অঞ্চলের ২০২ বুথের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিম হাঁসদা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে এলাকায় তিনি দিনরাত পরিশ্রম করছিলেন। রবিবার রাত ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজ করলেও কোনও হদিশ মেলেনি। সোমবার সকালে গ্রামের অদূরে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে এলাকায়। স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান। কিন্তু, পুলিশ দাবি না মেনে ওই বিজেপি কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ কুকুর নিয়ে এলে খুনি কে তা জানা যেত। কিন্তু, পুলিশ তা হতে দিল না।
কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?
দলীয় কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানার পরই এদিন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা, সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যান। বিজেপি সাংসদ বলেন, তৃণমূল আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করছে। খুন করছে। ওই বিজেপি কর্মী আমাদের দলের ভাল সংগঠক। তাঁকে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়ছে। এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূলই একমাত্র দায়ী। এই এলাকায় বিজেপির শক্তি বেশি থাকায় দলীয় কর্মীদের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তৃণমূল এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours