মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। সমগ্র ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করে বোলপুর থানায় তদন্তের দাবি জানালেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ, ছাত্রীটি যখন অসুস্থ হয়, তার চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantiniketan)
হুগলি জেলার পুরশুড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা চিন্ময় দত্ত। তাঁর মেয়ে স্নেহা দত্তকে (২০) নার্সিং পড়ানোর জন্য শান্তিনিকেতন নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছিলেন। শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে থেকেই সে পড়াশোনা করত। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ছাত্রী নিবাসে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ স্নেহার মুখ থেকে ফ্যানা বের হতে শুরু করে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও, ঘটনার পর থেকে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। উল্লেখ্য, এই শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের এক কর্মকর্তা মলয় পীঠ অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গরু পাচার মামলায় ইডি ও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই একাধিকবার কলকাতার নিজাম প্যালেস ও দিল্লিতে ডেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
কী বললেন ছাত্রীর পরিবারের লোকজন?
এদিন বোলপুর থানায় বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্রীর বাবা চিন্ময় দত্ত। তিনি সমগ্র ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করে তদন্তের দাবি করেছেন। চিন্ময়বাবু বলেন, আমার মেয়ে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে অসুস্থ হয়। অথচ তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। যদি ভর্তি করা হয়ে থাকে, সেই প্রেসক্রিপশন আমাদের দেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল কলেজে (Shantiniketan) ছাত্রীটিকে ভর্তি না করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে কেন পাঠানো হল? তিনি আরও বলেন, আর কোনও মায়ের কোল যেন এভাবে শূন্য না হয়ে যায়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল। আমি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours