RSS: ‘‘দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা মানুষ ও তাঁদের প্রবণতাগুলিকে মনে রাখা প্রয়োজন’’, বললেন সুনীল আম্বেকর

National Emergency: জরুরি অবস্থা নিয়ে নাম না করে কংগ্রেসকে তোপ আরএসএস নেতা সুনীল আম্বেকরের
sunil
sunil

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে নাম না করে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। শনিবার ইন্দ্রপ্রস্থে জরুরি অবস্থা নিয়ে একটি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন এমন মানুষ ও তাঁদের প্রবণতাগুলিকে মনে রাখা প্রয়োজন।’’

১৯৭৫ সালে যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল তা বিদেশ থেকে আসেনি 

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৫০ সালে ভারতে সংবিধান গৃহীত হয় এবং দেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। এ নিয়ে সুনীল আম্বেকরের মত হল, ‘‘ভারত সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ার মাত্র ২৫ বছরের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়। ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও জনগণের মৌলিক অধিকারকে সে সময় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল।’’ তিনি আরও (RSS) বলেন, ‘‘১৯৭৫ সালে যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল তা কোনও বিদেশ থেকে আসেনি। কোনও বিদেশী শক্তি এর জন্য দায়ী ছিল না। বরং তা আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা করেছে।’’ শনিবার তিনি বক্তব্য রাখেন ইন্দ্রপ্রস্থের বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্রে এবং সেখানেই এমন মন্তব্য করেন।

দেশের সংবিধান জনগণকে স্বাধীনতা ও সমতার সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার প্রদান করেছে (National Emergency)

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) এই প্রবীণ প্রচারক, তাঁর নিজের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময় আমি খুব ছোট ছিলাম। বহুবছর বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে কাজ করেছি। দেশের ছাত্ররা, স্বয়ংসেবকরা ও সমাজের মানুষ সবাই একত্রিত হয়ে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’’ এদিন তিনি উল্লেখ করেন, জরুরি অবস্থার সময় জনগণকে নানাভাবে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। দেশের সংবিধান জনগণকে স্বাধীনতা ও সমতার সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার প্রদান করেছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর বর্তমানে ৭৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আমাদের অবশ্যই সংবিধানকে মনে রাখতে হবে।’’ 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles