Everest Base Camp: বিশ্ব উষ্ণায়নে গলছে হিমবাহ, জায়গা বদল হচ্ছে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের?

Everest base camp: এবছর প্রায় দেড় হাজার মানুষ এই বেস ক্যাম্পটি ব্যবহার করেছেন
Everest_Base_Camp
Everest_Base_Camp

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এভারেস্টের বেস ক্যাম্প (Everest base camp) সরিয়ে নিচ্ছে নেপাল (Nepal)। ২০২৪ সাল নাগাদ বেস ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নেপাল প্রশাসন। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।  

এই মুহূর্তে বেস ক্যাম্পটি রয়েছে খুম্বু হিমবাহের (Khumbu Glacier) ওপরে। বসন্তকালে এই অঞ্চলে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্বতারোহীরা। তখন তাঁরা এই বেস ক্যাম্পটিই ব্যবহার করে থাকেন। এবছর প্রায় দেড় হাজার মানুষ এই বেস ক্যাম্পটি ব্যবহার করেছেন। নেপালের পর্যটন দফতরের মুখ্য আধিকারিক তারানাথ অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তুলনামূলক কম উচ্চতায় একটি নতুন স্থান বেছে নেওয়া হবে। যেখানে সারা বছর বরফ থাকে না। বর্তমান বেস ক্যাম্পটি পাঁচ হাজার ৩৬৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। উষ্ণায়নের ফলে ক্রমাগত বরফ গলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হিমবাহটি। 

আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল নেপালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের, ১৪টি ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার

পর্বতারোহীদের অভিযোগ, ক্যাম্পে ঘুমানোর সময়ও তুষারধসের আতঙ্ক তাঁদের তাড়া করে বেড়ায়। তারানাথ এবিষয়ে বলেন, বেস ক্যাম্পের জন্য বাছাই করা নতুন জায়গাটি বর্তমান ক্যাম্প থেকে ২০০ থেকে ৪০০ মিটার নীচে। সারা বছর সেখানে তুষারপাতও হয় না। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বেস ক্যাম্প স্থানান্তরের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং পরামর্শ করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৮ সালে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছিলেন, খুম্বু হিমবাহে প্রতিবছর ৯৫ লক্ষ কিউবিক মিটার জল কমছে। আধিকারিক বলেন, "দেশের পর্বতারোহণের ব্যবসা এবং পর্বতারোহীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।"  

আরও পড়ুন: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

১৯৫৩ সালে তেনজিং নোরগে, এডমন্ড হিলারিদের সময় বেস ক্যাম্প যেখানে ছিল তার থেকে বর্তমানের বেস ক্যাম্পটি ৫০ মিটার নীচে। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বেস ক্যাম্প অঞ্চলের বরফ প্রতিবছর ১ মিটার করে পাতলা হচ্ছে। আর তাতেই চিন্তিত নেপাল প্রশাসন। পর্বতারোহীদের জন্যে বর্তমানের বেস ক্যাম্পটিকে আর নিরাপদ মনে করছে না তারা।    

তারানাথ অধিকারী বলেন, "বরফ গললে তার ওপরে থাকা বড় বড় বোল্ডার এবং পাথর নিচে গড়িয়ে পড়ে। আর সেটাই সব থেকে ভয়ের। জলের পরিমাণও প্রচুর বৃদ্ধি পায়।"

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles