মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে ওঠার সময় স্টেশনেই বোনের সাথে শেষ কথা হয়। এরপর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানা জানি হতেই যুবককে বাড়ি থেকে ফোন করা হলে যুবককে ফোনে পাননি। এরপর বালেশ্বর (Odisha Train Accident) থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে মহিষাদলের এক বাসিন্দা বাড়িতে ফিরে এমন টাই বললে, বৌ সন্তানকে নিয়ে অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছি! এই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ভোলার নয়।
দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের
তমলুক থানার শ্রীরামপুর এলাকার শেখ আজিমুদ্দিনের মামার বাড়ি হল ওড়িশার বালেশ্বরে। মামার মৃত্যুর পর দেহ সৎকারের পর, মামা বাড়ি থেকে কেরালায় কাজ করতে যাওয়ার জন্য বালেশ্বর স্টেশন (Odisha Train Accident) থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে ওঠার কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে করমন্ডল এক্সপ্রেসের।
পরিবারের বক্তব্য
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আত্মীয় পরিজন রওনা দেয় দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) স্থলে। সেখানেই দেখেন যে আজিমুদ্দিনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর এই খবর জানা জানি হতেই সকাল থেকেই মৃতের বাড়িতে লোকজন এসে জড়ো হয়। মৃতের পরিবারের আবেদন যে রোজগেরে ছেলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পুরো পরিবারটাই অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়বে। দুই ছেলে ও বাবা মাকে নিয়ে সংসার ছিল আজিমুদ্দিনের। দুই ছেলেকে নিয়ে এইমুহুর্তে কীভাবে চলবে সংসার! কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না মৃতের বোন। বোনের বক্তব্য, সরকার তাঁদের আর্থিক সাহায্য করুক। এই মুহূর্তে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
অল্পের জন্য রক্ষা পেলে আরও এক পরিবার
অন্যদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা জানা ছিল না, নতুন জীবন পেয়ে বাড়ি ফিরলেন পাল পরিবারের ৩ সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যে ৭.১৫ নাগাদ বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে পড়েছিলেন তাঁরা। ওই ট্রেনেই সফর করছিলেন মহিষাদল থানার মলুবসান গ্রামের সুব্রত পাল, তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী পাল ও ছেলে। এই ট্রেনে করে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। বালেশ্বরের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তাঁদের কাছে আতঙ্কের। সুব্রত বাবুর স্ত্রী জানান, নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি! যতদিন বাঁচবো এই স্মৃতি মনের মধ্যে থাকবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours