মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ (Rohingya Infiltration) করেছে বিভিন্ন সময়ে, তা আগেই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। রোহিঙ্গারা যে এ রাজ্যে ঘাঁটি গেড়েছে, তা অনেক বার বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তাঁদের দাবি যে নিছক গল্পকথা কিংবা কষ্টকল্পনা নয়, তার প্রমাণ মিলল এনআইএ রিপোর্টে।
এনআইএর চার্জশিটে দাবি
জানা গিয়েছে, মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে এ রাজ্যে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এনআইএ-র চার্জশিটেই এই দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটে আরও দাবি (Rohingya Infiltration) করা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছে মানবপাচার। এই পাচার চক্রের৩৬ জনের বিরুদ্ধে দু’রাজ্যের দু’টি মামলায় এনআইএ চার্জশিট দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ জন বাংলাদেশি, একজন রোহিঙ্গাও।
মামলা দায়ের অসম পুলিশের
১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। তার পরেই উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মায়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা (মায়ানমারের মুসলমানরা)। এর পরেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। সেই মামলায়ই অসমের এনআইএ আদালতে পেশ করা হয় ওই চার্জশিট। এনআইএর পেশ করা চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৩৬ জনকে। এরা পশ্চিমবঙ্গের কাছে বাংলাদেশের বেনাপোল ও যশোর দিয়ে এবং ত্রিপুরার কাছে বাংলাদেশের আখাউড়া দিয়ে ভারতে ঢুকেছে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ভুয়ো নথি, ব্যাঙ্কের নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস।
আরও পড়ুুন: অশান্তির আগুন মায়ানমারে, দেশে ফিরুন, প্রবাসীদের আবেদন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের
তদন্তকারীরা জেনেছেন, ভালো কাজ ও উন্নত জীবন যাপনের টোপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ঢোকানো হচ্ছে এ দেশে। কয়েকজন রোহিঙ্গা মহিলাকে বিয়ের নামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বয়স্ক পুরুষদের কাছে। পাচার চক্রের লোকজনই অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিচ্ছে। সেই পরিচয়পত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা (Rohingya Infiltration)।
ভারতে রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে যে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অনেক আগেই দাবি করেছিল এনআইএ। এদের মূলে পৌঁছতে ১১টি রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল (Rohingya Infiltration)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours