মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Case) তদন্তে নামছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। বুধবারই এ খবর জানিয়েছিল মাধ্যম। এবার জানা গেল, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক বিষয় অনুসন্ধান করবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্দেশখালিকাণ্ডে মানব পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগও কতখানি সত্য, তা খতিয়ে দেখবে এনআইএ। জানা গিয়েছে, মানব পাচারের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের কাছে তথ্য তলব করেছে এনআইএ। সন্দেশখালির অদূরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। জল-জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকা। এরই সুযোগ নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
মানব পাচারের অভিযোগ
রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ব্যাপারে এনআইএ এখনও আলাদা করে কোনও মামলা দায়ের করেনি। তবে (Sandeshkhali Case) যেহেতু এলাকার অদূরেই সীমান্ত, এবং মানব পাচারের অভিযোগ উঠেছে, তাই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই প্রায় এক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ। এদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছে। এদের বিরুদ্ধেই উঠেছে মানব পাচারের অভিযোগ।
তদন্তে এনআইএ
জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে যে মানব পাচার চলে, সেই অভিযোগ পেতে ঢের আগেই তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। তবে সন্দেশখালির প্রেক্ষাপটে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে বিষয়টি। সন্দেশখালিতে যে অবাধে মানব পাচার চলে, সেই অভিযোগ করেছে বিজেপিও। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান গা ঢাকা দেওয়ার পরেই নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছেন সেখানকার মহিলারা। সেই প্রেক্ষিতেই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে মানব পাচারের অভিযোগের বিষয়টি। যদিও বিষয়টিকে লঘু করে দেখাতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাটিকে তারা বিজেপি এবং আরএসএসের ষড়যন্ত্র বলে দেগে দিয়েছে।
আরও পড়ুুন: 'শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে', স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি
সম্প্রতি সন্দেশখালি গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। প্রথমে তাঁদের বাধা দেওয়া হলেও, পরে ফের যান তাঁরা। কয়েকজন নির্যাতিতার সঙ্গে কথাও বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সন্দেশখালিতে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও। ফিরতে হয়েছে তাঁদেরও। প্রথমে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। পরে অবশ্য সন্দেশখালি যান তিনিও (Sandeshkhali Case)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours