NIA Terror Probe: ভূস্বর্গকে ফের আশান্ত করতে তৎপর পাকিস্তান! এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

Terrorism in Jammu Kashmir: পাকিস্তানে বসে রাজৌরি-পুঞ্চ হামলার নির্দেশ দেয় লস্কর হ্যান্ডলাররা! গোয়েন্দা তদন্তে উঠে এল তথ্য...
Kashmir
Kashmir

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে কি ফের ফিরছে নাশকতার কালো মেঘ (Terrorism in Jammu Kashmir)? প্রশ্নটা উঠছে কারণ সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি সে-জঙ্গি এনকউান্টারের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা। বাহিনী সজাগ থাকায় (NIA Terror Probe) জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল হলেও, প্রাণ গিয়েছে একাধিক বীর সেনানীর। অনন্তনাগ হোক বা রাজৌরি— জঙ্গিরা যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে এদেশে নাশকতার জাল বিছোতে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ঠিক যেমন বেশ কিছুদিন চুপ করে থাকার পর ফের কাশ্মীর দিয়ে সীমান্তপার সন্ত্রাস চালাতে তৎপর হয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান থেকে লাগাতার অনুপ্রবেশ

জঙ্গি-নেতারা যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে কাশ্মীরে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Terrorism in Jammu Kashmir) করে চলেছে এবং সেখান থেকেই যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, এটা আগে তো জানা ছিলই। তবে, এই মর্মে নতুন তথ্যপ্রমাণও হাতে পেয়েছেন এদেশের গোয়েন্দারা (NIA Terror Probe)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজৌরির ধাংরি গ্রামে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আইইডি বিস্ফোরণে ৭ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। এর পর এপ্রিল মাসে পুঞ্চে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলায় পাঁচ জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তথা অনুসন্ধানকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, এই দুই ঘটনাতেই একই জঙ্গিরা জড়িত ছিল। 

স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল জঙ্গিরা!

এনআইএ তদন্তে উঠে আসে, জঙ্গিরা স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল। হামলার পর তারা আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিসার আহমেদ ও মুস্তাক হোসেন নামে দুজনকে পাকড়াও করে এনআইএ। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, পুঞ্চের বাসিন্দা এই দুজনই ধাংরি হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সাহায্য করেছিল। ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে এনআইএ-র হাতে (NIA Terror Probe)। জানা যায়, নিসারের সঙ্গে লস্কর হ্যান্ডলার আবু কতল ওরফে কতল সিন্ধির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। নিসারকে আগও গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২ বছর জেলে কাটিয়ে ২০১৪ সালে সে ছাড়া পায়। 

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে জঙ্গিদের ইনফর্মার হিসেবে নাকি কাজ করত এই নিসার (Terrorism in Jammu Kashmir)। ধাংরিতে হামলার ঘটনায় তাকে ডেকেও পাঠিয়েছিল পুলিশ। এনআইএ-কে নিসার জানিয়েছে, দুই জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল আবু কতল। এর পর মুস্তাক হোসেনকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ওই ২ জঙ্গির জন্য গুহার মধ্যে একটি গোপন আস্তানা তৈরি করে দিতে। ওই জঙ্গিদের বাড়িতে তৈরি খাবার দিয়ে আসত নিসার। 

নির্দেশ দিয়েছিল পাক হ্যান্ডলাররা

এনআইএ জানিয়েছে (NIA Terror Probe), জেরায় নিসার দাবি করেছে, এপ্রিলে সেনার ওপর হামলার ২ দিন আগে ওই জঙ্গিরা ২২টি রুটি চেয়ে পাঠায়। সেই মতো, সে রুটি পৌঁছে দেয়। এর পর জঙ্গিরা তাকে না জানিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এনআইএ জানিয়েছে, এর পরই পুঞ্চের ভিম্বর গলি-সুরানকোট সড়কের ওপর ভাট্টা দুরিয়াঁর কাছে ঘটা হামলার খবর আসে (Terrorism in Jammu Kashmir)। গোয়েন্দাদের মতে, পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তৈবা হ্যান্ডলারদের নির্দেশ অনুযায়ী এই হামলাগুলো চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সইফুল্লাহ ওরফে সাজিদ জট্ট, আবু কতল এবং মহম্মদ কাসিম নামে তিন লস্কর হ্যান্ডলার পাকিস্তান বসে জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছিল।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles