মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ২ বছর ২ মাস , তার মধ্যেই গড়গড় করে বলে দিচ্ছে দেশের সব রাজ্যের রাজধানী। পাশাপাশি জাতীয় চিহ্নের নামগুলিও বলে দিচ্ছে সে। খুদে অভিমন্যুকে নিয়ে তাই উৎসাহ সবার। খুদে অভিমন্যুর এই ভিডিও ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এর কাছে পাঠাতেই কেল্লা ফতে। তার নামে নামে শংসাপত্র, মেডেল সহ বুক অফ রেকর্ডসের বই বাড়িতে চলে এল ডাকযোগে।
দুর্গাপুরের (Durgapur) বিস্ময় শিশুর কীর্তিতে গর্বিত পরিবার
এই মুহূর্তে দুর্গাপুরের (Durgapur) বিস্ময় শিশুর কীর্তিতে গর্বিত দাদু-দিদা, বাবা-মা ! দুর্গাপুরের বিধাননগরের জোনাল মার্কেট কলোনির বাসিন্দা অভিমন্যু নন্দীর প্রখর স্মৃতিশক্তি। যবে থেকে কথা বলতে শিখেছে , তারপর থেকেই সব মনে রাখতে পারে এই খুদে, এমনটাই জানাচ্ছেন অভিমন্যুর বাবা সঞ্জয় নন্দী ও মা সুস্মিতা নন্দী। বাবা পেশায় ব্যবসায়ী , মা গৃহবধু। আর পাঁচটা শিশুর মতো মায়ের কাছেই শিক্ষা ছোট্ট অভিমন্যুর। এখনও আধো আধো কথা বলছে সে , তবে তার মধ্যেই বলে দিচ্ছে কঠিন কঠিন শব্দ। শুধু তাই নয় , এখন অভিমন্যু শিখছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও তার রাজধানীর নাম। এখনও স্কুলে ভর্তি হয় নি , তার মধ্যেই এই বিস্ময় বালকের বিরল প্রতিভা উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। সোমবার তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল ছোট্ট অভিমন্যু খেলে বেড়াচ্ছে গোটা ঘর জুড়ে। ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ এর পাঠানো মেডেল নিয়ে খেলা করছে । এই মেডেল কিংবা শংসাপত্রের গুরুত্ব এই বয়সে না বুঝলেও মা , বাবা বুঝেছেন যে ছেলে বিরল প্রতিভার অধিকারী। তাই আগামী দিনে ছেলে আরও নাম উজ্জ্বল করুক,এটাই চাইছেন নিতান্ত ছাপোষা এই দম্পতি।
অভিমন্যুর মা কী বলছেন?
খুদে অভিমন্যু প্রথম পাঠ তার মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছে। সোমবার সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুস্মিতা নন্দী বলেন, ‘‘ছোট ছোট শব্দ যখন বলতে শেখে অভিমন্যু তখনই লক্ষ্য করতাম ওর মনে রাখার ক্ষমতা। এরপর কাজ করতে করতে ওকে বিভিন্ন রাজধানীর নাম শেখাতে থাকি। আশ্চর্যজনকভাবে ও সব কিছুই মনে রাখতে শুরু করে।’’ ছেলের এই বিরল প্রতিভায় খুশি সুস্মিতাদেবী। তিনি আরও বলেন, ‘‘এখনও ওকে নিয়ে অনেক কিছুই পরিকল্পনা রয়েছে। সবে ওর ২ বছর ২ মাস বয়স। আগে স্কুলে ভর্তি হোক।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours