মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukrain war) যুদ্ধে মধ্যপন্থা অবস্থানের কারণে পশ্চিমী দেশগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে (India)। তাতে অবশ্য খুব একটা কর্ণপাত করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। কারণ, ভারতের বিদেশ নীতির মূল মন্ত্র মেনেই তিনি রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তবে সব বিষয়ে ভারত যে পুতিনকে সমর্থন করবে না, তা কিন্তু হাবেভাবে ফের বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি গণভোটের নাম করে ইউক্রেনের চারটি এলাকা নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যা একেবারেই না পসন্দ ভারতের। সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটাভুটিতে বিরত থাকল দিল্লি। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ভীষণই বিচলিত। আলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই বার্তা মস্কোকে বার বার দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’
আরও পড়ুন: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?
আমেরিকার পক্ষ থেকে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধ নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। সদস্য দেশগুলিকে ইউক্রেনের কোনও পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ার আহ্বান জানান হয়। নিরাপত্ত পরিষদের দশটি সদস্য আমেরিকার আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে চিন, গ্যাবন ব্রাজিল এবং ভারত ভোটদান থেকে বিরত থাকে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবেই পরিচিত ভারত, চিন। কিন্তু অবৈধ গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের এলাকা দখলের রুশ প্রয়াসকে ভারত একেবারেই সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘ভোটদানে বিরত থাকা মানে রাশিয়াকে সমর্থন নয়। একটি দেশও রাশিয়াকে ভোট দেয়নি।’
আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখানে এখনও লড়াই চলছে। সেখানকার মানুষ গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অংশ হতে চেয়েছে।’ তবে এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইউক্রেন।
+ There are no comments
Add yours