শুধু বাবরি মসজিদ, জ্ঞানবাপী মসজিদ বা মথুরার শাহী ইদগাহ নয় ইসলামিক শাসকরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিলেন, বলে দাবি।
সীতারাম গোয়েলের লেখা বই...
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ শতাব্দীতে ভারত আক্রমণকারী মহম্মদ ঘোরির সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবকের (পরবর্তীকালে দিল্লির সুলতান) হাতেই না কি প্রথম আক্রান্ত হয়েছিল কাশীর আদি বিশ্বনাথ মন্দির। কয়েক বছর পর কাশীর বাসিন্দারা সংস্কার করেন মন্দিরটি। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, সপ্তদশ শতকে (১৬৬৪ থেকে ’৬৯-এর মধ্যে) মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। আর সেই জমির একাংশে গড়ে তুলেছিলেন বর্তমান জ্ঞানবাপী মসজিদ। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও মসজিদ চত্বরে মন্দির থাকার নানা প্রমাণ পেয়েছে।
তবে শুধু বাবরি মসজিদ, জ্ঞানবাপী মসজিদ বা মথুরার শাহী ইদগাহ নয়— ইসলামিক শাসকরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিলেন, বলে দাবি করেছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সীতারাম গোয়েল। তাঁর লেখা "Hindu Temples: What Happened to Them" বইতে এবিষয়ে তিনি বিশদ তথ্য দিয়েছেন। তাঁর মতে, ভারতের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণের সমস্ত অঞ্চল জুড়েই মন্দির ধ্বংসের চিহ্ন রয়েছে। অরুণ শৌরি, হর্ষ নারায়ণ, জয় দুবাসী, রাম স্বরূপ এবং সীতারাম গোয়েল এই ঐতিহাসিক গ্রন্থটি রচনা করেন। বইটি দুই ভাগে বিভক্ত। গোয়েল ওই বইয়ে ১ হাজার ৮০০টি এরকম স্থাপত্যের উদাহরণ দেন, যেগুলি মন্দির ভেঙে তৈরি হয়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, সীতারাম গোয়েল তাঁর বইয়ে যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তার এক ঝলক—
অন্ধ্রপ্রদেশ: দক্ষিণের এই রাজ্যে এরকম ১৪২টি স্থান রয়েছে বলে নিজের বইতে দাবি করেছেন গোয়েল। তিনি লিখেছেন, অনন্তপুরের জামি মসজিদ, পেনুকোন্দার শের খাঁ-র মসজিদ, বাবিয়া দরগাগুলি তৈরি হয়েছে ইভারা মন্দির ভেঙে। এছাড়াও এই রাজ্যের নানা জায়গায় আরও নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর দাবি, আলিয়াবাদের মামিন চুপ দরগাও মন্দির ভেঙেই হয়েছে। বেনুগোপালস্বামীর মন্দির ভেঙে তৈরি হয় রাজামুন্দ্রির জামি মসজিদ। ১৭২৯ সালে তৈরি গাছিনালা মসজিদও মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছিল বলে নিজের বইয়ে লিখেছেন সীতারাম গোয়েল।
আসাম: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, কামরূপ জেলার হাজোতে মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল পোয়া মসজিদ এবং সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের মাজার।
পশ্চিমবঙ্গ: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, বাংলায় এরকম ১০২টি মসজিদ, দরগা, মুসলিম স্থাপত্য, দুর্গের খোঁজ মেলে যেগুলি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি হয়েছে। বইতে তিনি লিখেছেন, বেনুগোপালের মন্দির ভেঙে লোকপুরে গাজি ইসমাইল মাজার তৈরি করা হয়। বীরভূমের মখদুম শাহ দরগায় মন্দিরের চিহ্ন পাওয়া যায়। গৌরে হিদু-রাজার রাজধানীর উপর ভিত্তি করেই মুসলিম শহর নির্মাণ করা হয়। ছোট সোনা মসজিদ, তাঁতিপারা মসজিদ, লাটান মসজিদ, মখদুম আঁখি সিরাজ চিস্তির দরগাও হিন্দু মন্দিরের উপর তৈরি বলে বইয়ে লিখেছেন গোয়েল।
বিহার: বইতে গোয়েল লেখেন, এখানে এরকম ৭৭টি মুসলিম স্থাপত্য রয়েছে যার ভিত্তি হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান। ১৫০২ সালে ভাগলপুরে হজরত শাহাবাজের দরগা, ১৬১৭ সালে গয়ার নাদিরগঞ্জে শাহি মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে। জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি হয় চম্পানগরের বেশ কয়েকটি মাজার। নালন্দায় বৌদ্ধবিহার নষ্ট করে তৈরি করা হয় বিহারশরিফ। এছাড়াও নানা উদাহরণ রয়েছে।
দিল্লি: গোয়েলের বইয়ে নানা প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করা হয়েছে কুতুব মিনার-সহ প্রায় ৭২টি জায়গায় মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ, দরগা, মাজার। পত্তন করা হয়েছিল নতুন নতুন নগরের।
দিউ: গোয়েল লেখেন, এই শহরে ১৪০৪ সালে যেখানে জামি মসজিদ তৈরি হয় সেখানে আগে মন্দির ছিল। এর ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে।
গুজরাট: গোয়েল তাঁর বইতে লিখেছেন, গুজরাটে এরকম ১৭০টি জায়গার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আসাভাল, পাটন এবং চন্দ্রাবতীর মন্দিরগুলি ধ্বংস করে মুসলিম শহর আহমেদাবাদ তৈরি হয়। ভদ্রের প্রাসাদ এবং দুর্গ, আহমদ শাহের জামে মসজিদ, হাইবিত খান কি মসজিদ, রানি রূপমতি কি মসজিদ সবকিছু নির্মাণেই মন্দিরের জিনিস ব্যবহার করা হয়েছিল।
গোয়েল লেখেন, ঢোলকা জেলায় বাহলোল খান গাজির মসজিদ ও মাজার এবং বরকত শহিদের মাজার মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়। ১৩২১ সালে, ভারুচের হিন্দু ও জৈন মন্দিরগুলি ধ্বংসের পর, তার উপকরণ ব্যবহার করেই জামি মসজিদ তৈরি করা হয়। ১৪৭৩ সালে দ্বারকায় মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়। রান্দার থেকে জৈনদের বিতাড়িত করে তাঁদের মন্দিরগুলি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়।
হরিয়ানা: বইতে গোয়েল দাবি করেছেন, ইতিহাসবিদরা হরিয়ানায় মোট ৭৭টি এরকম জায়গার খোঁজ পেয়েছেন। ১৬০৫ সালে ফরিদাবাদে, জামে মসজিদ একটি মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়। ১৩৯২ সালে নুহতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। ১২৪৬ সালে কাইথালে, বলখের শেখ সালাহুদ-দিন আবুল মুহাম্মদের দরগা তৈরিতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের টিলায় যে মাদ্রাসা তৈরি করা হয়, সেখানেও মন্দির ছিল। ফিরোজ শাহ তুঘলক আগ্রা থেকে আনা মন্দির সামগ্রী ব্যবহার করে হিসার তৈরি করেছিলেন।
হিমাচল প্রদেশ: গোয়েল লেখেন, হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় জাহাঙ্গির গেটটি মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল।
কর্ণাটক: বইতে গোয়েল লিখেছেন, দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট ১৯২টি জায়গা রয়েছে যেখানে মন্দিরের চিহ্ন মেলে। বেঙ্গালুরুর ডোড্ডা বল্লাপুরে মুহিউদ্দিন চিস্তির দরগা, কুদাছিতে মখদুম শাহ ওয়ালির দরগা মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয়। প্রাচীন হিন্দু শহর বিদার ও বিজাপুরকে মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত করা হয়।
কেরল: গোয়েলের মতে, ভারতের শেষপ্রান্তের এই রাজ্যে টিপু সিলতানের দুর্গ এবং কোলামে জামে মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের ইঁট, কাঠ, পাথর ব্যবহার করা হয়।
লাক্ষাদ্বীপ: তিনি লেখেন, লাক্ষাদ্বীপে এখন মুসলিম জনসংখ্যাই বেশি। কিন্তু একদা এখানে হিন্দুদের প্রাধান্য ছিল। এখানকার মহিউদ্দিন পালি মসজিদ, প্রতপালি মসজিদ নির্মাণ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
মধ্যপ্রদেশ: বইতে গোয়েল দাবি করেছেন, মধ্যপ্রদেশে এরকম ১৫১টি জায়গার সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে মন্দিরগুলি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। তিনি লেখেন, কুদসিয়া বেগম ভোপালে যেখানে জামে মসজিদ তৈরি করেন সেখানে একসময় সভামন্ডলা মন্দির ছিল। দামোহে গাজী মিঞার দরগা আগে মন্দিরের জায়গা ছিল। ধর ছিল রাজা ভোজ পরমারের রাজধানী। এটি মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়। কামাল মওলা মসজিদ,লাট মসজিদ,আদবুল্লাহ শাহ চাঙ্গালের মাজার ইত্যাদিতে তৈরিতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীন হিন্দু শহর মান্ডুকে একটি মুসলিম শহর তৈরি করা হয়। জামে মসজিদ,দিলাওয়ার খান কি মসজিদ,ছোট জামে মসজিদ, মতি মসজিদ ইত্যাদি তৈরিতেও মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়।
মহারাষ্ট্র: গোয়েল জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে রয়েছে ১৪৩টি জায়গা, যেখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয় বা মসজিদ তৈরিতে মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে, আহমেদনগরের অম্বা যোগী দুর্গ, গগ-এর ইদগাহ, করঞ্জের আস্তান মসজিদ, রিতপুরে ঔরঙ্গজেবের জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য। মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী মন্দিরকে ভেঙে তৈরি করা হয় ময়না হাজ্জামের মাজার। মুম্বইয়ের জামে মসজিদটিও একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। লাতুরে, মিনাপুরী মাতার মন্দির ভেঙে হয় মাবসু সাহেবের দরগা। সোমেভরা মন্দিরকে ভেঙে সঈদ কাদিরির দরগা, রামচন্দ্র মন্দিরকে ভেঙে পাউনারের কাদিমি মসজিদ তৈরি হয়।
ওড়িশা: গোয়েলের মতে, সমুদ্রপাড়ের এই রাজ্যে মোট ১২টি মুসলিম স্থাপত্যের জায়গায় মন্দিরের চিহ্ন পেয়েছেন ঐতিহাসিকেরা। বালেশ্বরে চণ্ডি মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয় জামে মসজিদ। কটকের শাহী মসজিদের জায়গাতেও আগে মন্দির ছিল।
পঞ্জাব: গোয়েল লিখেছেন, এখানে ১৪টি ইসলামিক স্থাপত্যের জায়গায় মন্দিরের নিদর্শন রয়েছে। ভাতিন্ডায় বাবা হাজি রতনের মাজার, লুধিয়ানায় দর মসজিদ, পাতিয়ালায় বাহাদুরগড় দুর্গের ভিতর মসজিদ তৈরি হয় মন্দিরের জায়গায়। জলন্ধরে বৌদ্ধ বিহারের উপর তৈরি হয় সুলতানপুরের বাদশাহি সরাই।
রাজস্থান: রাজস্থানে এরকম ১৭০টি জায়গার উল্লেখ রয়েছে সীতারাম গোয়েলের বইয়ে। তিনি লিখেছেন, হিন্দু রাজার রাজধানী ছিল আজমের, যা পরবর্তীতে মুসলিম স্থাপত্য রীতির অনুকরণে তৈরি করা হয়। মন্দিরের জায়গাতেই ১২৩৬ সালে মুইনুদ্দিন চিস্তির দরগা তৈরি হয়। ঊষা মন্দির ভেঙে হয় বায়নার নোহারা মসজিদ। বিষ্ণু মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয় ভিটারি-বাহারি মহল্লার মসজিদ। শেরগড়ে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহার করেই হয় শেরশাহ সুরির দুর্গ। লোহারপুরায় পীর জহিরুদ্দীনের দরগা, মাজার, নাগৌরে বাবা বদরের দরগা, সালাওতানের মসজিদ মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল।
তামিলনাড়ু: গোয়েলের দাবি, দক্ষিণের এই রাজ্যে ১৭৫টি স্থানের কথা বলা হয়েছে যেখানে মন্দিরের চিহ্ন মেলে। তিরুচিরাপল্লীতে, নথর শাহ ওয়ালীর দরগা তৈরি হয় একটি শিব মন্দির ভেঙে। কোয়েম্বত্তুর, আন্নামালাই দুর্গ মেরামতের জন্য টিপু সুলতান মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করেছিলেন। চিংলেপুটের আচারওয়াকে শাহ আহমদের মাজার, কোভালামের মালিক বিন দিনারের দরগা একটি মন্দিরের উপর নির্মিত হয়। পাঁচ পদ্মমালাই পাহাড়ের নতুন নামকরণ করা হয় মওলা পাহাড়। একটি প্রাচীন গুহা মন্দিরের কেন্দ্রীয় হলটি মসজিদে পরিণত হয়।
উত্তর প্রদেশ: গোয়েলের দাবি, অযোধ্যার বাবরি মসজিদ, মথুরার শাহী ইদগাহ-সহ এই রাজ্যে ২৯৯টি স্থান রয়েছে যেখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ বা ইসলামিক স্থাপত্য নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। বইয়ে বলা হয়েছে, আগ্রার কালান মসজিদ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল। আকবরের দুর্গে,ননদীর তীরবর্তী অংশটি জৈন মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়। আকবরের মাকবারা একটি মন্দিরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইলাহাবাদে আকবরের দুর্গ, মিয়া মকবুল ও হোসেন খান শহিদের মাজার মন্দিরের উপর নির্মিত হয়েছিল। পাথর মহল্লায় মসজিদটি লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরকে ভেঙে তৈরি হয়।
তিনি লেখেন, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল রাম জন্মভূমির উপর। যা এখন দেশের শীর্ষ আদালতও মেনে নিয়েছে। শাহ জুরান ঘুরির মাজার একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। স্যার পাইগম্বর এবং আইয়ুব পইগম্বরের মাজার একটি বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় তৈরি হয়, যেখানে বুদ্ধের পায়ের চিহ্ন ছিল। পাভা কারবালাও একটি বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত। গোরখপুরের ইমামবাড়া, লখনউতে তিলেওয়ালি মসজিদ একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল।
তিনি আরও লেখেন, মেরঠের জামে মসজিদটি একটি বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে আছে। নৌচণ্ডীর দরগা ছিল নৌচণ্ডী দেবীর মন্দির। বারাণসীতে,জ্ঞানব্যাপি মসজিদটি বিশ্বেশ্বর মন্দিরের উপাদান ব্যবহার করে মন্দিরের জায়গাতেই তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি বিতর্কিত কাঠামোতে একটি শিবলিঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মথুরার শাহী ইদগাহ কৃষ্ণের জন্মভূমির উপরেই তৈরি, বলে বইতে দাবি করা হয়েছে।
গোয়েল তার বইয়ে লিখেছেন যে তাঁর উল্লেখ করা তালিকাটি অসম্পূর্ণ। এটা শুধু একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ মাত্র।