Pakistan Economic Crisis: এক লিটার দুধ বিকোচ্ছে ২১০ টাকায়! ভয়ঙ্কর আর্থিক সংকটে পাকিস্তান

ব্যাপকহারে বেড়েছে বিদ্যুতের দাম, ভর্তুকি বাতিল করার ফলে পাকিস্তানি শিল্পের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
pakistan_crisis
pakistan_crisis

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি (Pakistan Economic Crisis)। অবশেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সামনে মাথা নত করেছে শেহবাজ শরিফ সরকার। এর আগে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনায় কোনও শর্ত মানতে নারাজ ছিলেন শেহবাজ সরকার। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি দল পাকিস্তান ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি শর্ত মেনে নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।   

রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা বিদ্যুতের ভর্তুকি বাতিল করেছে। ব্যাপকহারে বেড়েছে বিদ্যুতের দাম (Pakistan Economic Crisis)। আইএমএফ বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ভর্তুকি প্রত্যাহার করার শর্ত দিয়েছিল। আইএমএফকে সন্তুষ্ট করতেই পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।

আকাশছোঁয়া দাম  

বিদ্যুতে ভর্তুকি বাতিল করার ফলে পাকিস্তানি (Pakistan Economic Crisis) শিল্পের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু বিদ্যুতের দামই নয়। চড়া দামে বিকোচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যও। প্রতি লিটার দুধের দাম ২১০ টাকা ছাড়িয়েছে। গত দুই দিনে পাকিস্তানে মুরগির দাম বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। ফেব্রুয়ারির শুরুতে মুরগির দর ছিল ৩৯০-৪৪০ টাকা প্রতি কেজি। জানুয়ারিতে সেই দাম ছিল প্রায় ৩৮০-৪২০ টাকা। কিন্তু এখন মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৮০ টাকায়। অন্য দিকে, মুরগির বোনলেস পিস ১১০০ টাকা কেজি।

আরও পড়ুন: মহিলা ক্রিকেটারদের নিলামেও বাজিমাত বাংলার রিচা-তিতাসদের, কে পেল কোন দল?

চা পাতার দামও ব্যাপক বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক কেজি চায়ের দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা। পাকিস্তানে (Pakistan Economic Crisis) সাধারণ চা পাতার দাম কেজি প্রতি ১৬০০ টাকা বেড়েছে। কারণ সরবরাহ নেই বললেই চলে। অন্য দেশ থেকে আমদানি করা চা পাতার চালান বন্দরে আটকে রয়েছে, কারণ পাকিস্তান সরকার দাম দিতে পারেনি।     

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার প্রায় শূন্য। বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের (Pakistan Economic Crisis) দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের কাছে গচ্ছিত বিদেশি মুদ্রায় আর কয়েকটা দিনই চলতে পারে পাকিস্তান। ১০ দিনের আলোচনার পরও ত্রাণ তহবিল দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আইএমএফ।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের অর্থনীতিকে (Pakistan Economic Crisis) পতনের মুখ থেকে বাঁচাতে আইএমএফের কাছে বেলআউট চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ১০ দিনের আলোচনার পরও সমাধান মেলেনি। আইএমএফ- এর পর্যবেক্ষণ, পাকিস্তানের রাজস্ব ঘাটতি এবং রাজস্বের মধ্যে বড়ো পার্থক্য রয়েছে। অন্য দিকে পাকিস্তানের অর্থসচিব হামিদ শেখ বলেছেন যে,  বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার শূন্য হওয়ার বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি চুক্তি করা হয়েছে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles