মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সুপ্রিমো ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আশিফ শুক্রবার জানান, তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি উন্মোচন করে জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছেন বলে অভিযোগ।
সাইফার কী
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, সাইফার হল একটি সরকারি শ্রেণিবদ্ধ নথি, যেটি কখনও প্রকাশ যায় না বা কারও সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। পাক সংবিধানের ৬ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধানের ওপর ৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।” প্রসঙ্গত, ইমরানের এক পদস্থ প্রাক্তন সহযোগী সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের দূত ওয়াশিংটনকে যে সাইফার পাঠিয়েছিলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে, ইমরান তাকে হাতিয়ার করেছেন রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে।
সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক আগের দিনই সে দেশের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারারও প্রায় একই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি প্রাকাশ্যে এনে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগ রয়েছে ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর জেল হবে। ইসলামাবাদে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী বলেন, ইমরান সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?
এ বিষয়ে পাকিস্তান ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তাঁকে তলবও করেছিল। তিনি বলেন, “সাইফারকে নির্বিচারে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছিলেন ইমরান খান। এটা তৎকালীন মুখ্যসচিব আজম খানের স্বীকারোক্তি থেকেই স্পষ্ট।” তাঁর দাবি, তিনি যখন সরকারি এই নথি নিয়ে ইমরানের (Imran Khan) সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, তখন ইমরান উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি একে আমেরিকার ভুল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে যদি গোপন নথিটি প্রকাশ করা হয় এবং নিজের স্বার্থে তার বিষয়বস্তু ফাঁস করা হয়, তবে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ইমরানের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours