মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে ধর্মান্তরণের ঘটনা। এবং এবারও ঘটনাস্থল সেই পাকিস্তান (Pakistan)। অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হওয়া সত্ত্বেও চলছে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। জানা গিয়েছে, এক হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করে একজন মুসলমান। পরে তাঁদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় অপহরণকারীকে। ওই তিন মহিলাকে দীক্ষিত হতে হয় ইসলাম ধর্মে।
ইসলাম ধর্মে দীক্ষা
পাকিস্তান হিন্দু সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঢারকি এলাকায় বাস করেন হিন্দু ব্যবসায়ী লীলা রাম। দিন কয়েক আগে তাঁরই তিন মেয়েকে অপহরণ করে এক দুর্বৃত্ত। বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় তাকে। পরে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেওয়া হয় তাঁদের। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তানের হিন্দু সংগঠন দারাওয়ার লেটহ্যাড। অপহরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে তিন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে এবং ধর্মান্তরিত করার তীব্র প্রতিবাদও করেছে ওই সংগঠন।
হিন্দু সংগঠনের প্রতিবাদ
সংগঠনের (Pakistan) তরফে শিব কাচ্চি বলেন, “ধর্মান্তরিত করেছেন একজনই। তাঁর নাম পির জাভেদ আহমেদ কোয়ারদি। পরে তিন মহিলাকে ওই মুসলমানকে বিয়ে করতে হয়।” সংগঠনের অভিযোগ, তাদের তরফে বারংবার জোর করে ধর্মান্তরনের প্রতিবাদ জানানোর পরেও হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না।
কাচ্চি জানান (Pakistan), লীলা রামের তিন মেয়েকে বিয়ে করেছে একজনই। সে-ই এঁদের অপহরণ করেছিল। সীমা হায়দরের ঘটনার পরে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সীমা হায়দর চার সন্তানের জননী। ভারতের শচিন মিনার সঙ্গে থাকবেন বলে ভারতে চলে আসেন। তার পর থেকেই পাকিস্তানে বেড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। পাকিস্তানে সব চেয়ে বড় সংখ্যালঘু হলেন হিন্দুরা। এঁদের সিংহভাগই থাকেন সিন্ধ প্রদেশে। সেখানেই তাঁরা তাঁদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষা শেয়ার করেন মুসলমান প্রতিবেশীদের সঙ্গে।
আরও পড়ুুন: 'পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
সিন্ধ প্রদেশে এই ঘটনা এই প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই উমেরকোট শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বিবাহিত এক হিন্দু মহিলাকে। তাঁকেও ধর্মান্তরিত হতে চাপ দেওয়া হয়। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। গত (Pakistan) বছরের জুন মাসেও করিনা কুমারি নামে এক তরুণী আদালতে জানিয়েছিলেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়, পরে দীক্ষিত করা হয় ইসলাম ধর্মে। গত বছরের মার্চ মাসে সাতরণ ওদ, কবিতা ভিল এবং অনিতা ভিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আটদিনের মধ্যে তাঁদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে বাধ্য করে তিন মুসলমান যুবক।
শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours