মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি-২ ব্লকের নিজ কসবা এলাকায় পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনজন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
নিজ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৮টি। তারমধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ১৬টি আসন। বৃহস্পতিবার এই পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিন ধার্য করা হয়। সেই মতো বিজেপি এবং তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন। উত্তরদিকে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত হন। আর দক্ষিণদিকে জমায়েত হন বিজেপি কর্মীরা। প্রথমে দুই দলের কর্মীদের নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেটা বাড়তে বাড়তে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে, পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। চলে গুলিও। বিজেপির জয়ী প্রার্থীর স্বামী সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মীও জখম হন। পরে, ভোটাভুটিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপির জয়ী সদস্য মৌসুমী মণ্ডল প্রধান নির্বাচিত হন।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলই এদিন জমায়েত করে এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ৩ জন কর্মী আমাদের গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আহত তিন বিজেপি কর্মীকে শিল্যাবেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। জখম একাধিক পুলিশ কর্মীকে জনকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাশিস দাস বলেন, বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিনে বিজেপি গণ্ডগোল পাকানোর জন্য ব্যাপক জমায়েত করেছিল। ওরাই এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
হুগলির ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে বোমাবাজি
হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড (Panchayat Board) গঠন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, ফুরফুরার পঞ্চায়েত গেটে তালা ঝোলানো ছিল। আইএসএফ এই তালা দিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তালা খুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। পরে, বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। আইএসএফের অভিযোগ, এই পঞ্চায়েতে আইএসএফ জয়ী হয়েছে। তৃণমূল দাবি করছে তারা জয়ী হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় বোর্ড গঠন করা ঠিক নয়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আইএসএফ এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours