মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর বিধানসভার মধুসূদন চকের মাঝিপাড়া। এখানকার ২৮১ নম্বর বুথে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election) প্রকাশ্যে। এই বুথে তৃণমূলের পক্ষে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনই দাবি করছেন দুই প্রার্থী। দুজনেই আবার শাসকদলের অনুগামী বলেও দাবি করছেন। ভারতীয় সংবিধানে এমন নজির কি আছে, যেখানে একই দলের দুজন প্রার্থী লড়বেন একই দলের হয়ে? এটা হাস্যকর বলে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি অনেকেই।
কীভাবে প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election)?
বহুদিন ধরেই মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Panchayat Election) খবর সামনে উঠে আসছে। বিগত দিনে জ্যোৎস্না পাত্র ছিলেন শাসক দলের প্রধান। হঠাৎ করেই গত বছর দল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিরোধীদের সাহায্য নিয়ে অন্য আরেক জনকে প্রধান করে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৮১ নম্বর বুথে মনোরঞ্জন জানা পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শাসকদলের। এবার তাঁর স্ত্রী তারামণি মণ্ডল জানা শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেন। তাঁর স্বামী মনোরঞ্জন জানার দাবি, নির্দল হিসাবে তাঁর স্ত্রী নমিনেশন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে হবে। সেই মতো তাঁর স্ত্রী নমিনেশন জমা করেন। পরবর্তী কালে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা মাইতিও সেখানে শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি। ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, দুজনই টিএমসি প্রার্থী। তবে নমিনেশনের শেষ দিনে প্রকৃত কে তৃণমূলের প্রতীক পাবে, সেটাই এখন দেখার। দলের প্রতীক না পেলে তাঁর স্ত্রী নির্দল হয়ে লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন জানা।
একই আসনে আরেক প্রার্থী কে (Panchayat Election)?
অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা মাইতিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক পাবেন। আর প্রতীক না পেলে তিনিও নমিনেশন তুলবেন না, নির্দল হয়ে লড়বেন, এমনটাই জানা গেছে। একমাত্র আগামীকালই জানা যাবে প্রকৃত তৃণমূলের প্রার্থী কে। কারণ আগামীকাল নমিনেশন তোলার শেষ দিন। তবে যাই হোক না কেন, শাসকদলের কোন্দলের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শেষ হাসি হাসেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours