Panchayat Vote: ভোটযুদ্ধে ওরা ব্যস্ত পতাকা তৈরিতে, নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই!

গণতন্ত্রের উৎসব এনে দিয়েছে বাড়তি লাভ
Panchayat_Vote_(4)
Panchayat_Vote_(4)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন, প্রজাতন্ত্র দিবস কিংবা প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস এলেই ওদের ব্যস্ততা বাড়ে। ওরা মানে হাওড়ার পতাকা তৈরির কারিগররা। এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই ওদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলের অর্ডার মতো পতাকা সরবরাহ করতে হবে। তাই নাওয়া খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না কারিগররা। নির্বাচনের মুখে অতিরিক্ত অর্ডার। তাই একটু বাড়তি লাভের মুখ দেখতে পেয়ে খুশি মালিক এবং কারিগররা।

বিভিন্ন সাইজের পতাকা চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে

হাওড়া জেলার ডোমজুড়ের উনসানি, জগাছা সহ বেশ কিছু এলাকায় এই পতাকা তৈরির কাজ করেন বহু কারিগর। সব রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরির পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কাজের চাপ বাড়ে। তবে এ বছর হঠাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণা হয়ে যাওয়ার ফলে কার্যত চাপে পড়ে গেছেন পতাকা তৈরির কারিগররা। তাঁরা দিনরাত এক করে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফ-এর পতাকা তৈরি করে চলেছেন। এই সব দলের পতাকার অর্ডার বেশি এলেও কিছু কিছু নির্দল প্রার্থীও পতাকা তৈরির বরাত দিয়েছেন এবার। এই সব কারিগরদের হাতে তৈরি ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের পতাকা চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। পতাকার পাশাপাশি কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের গেঞ্জি ছাপানোর কাজও চলছে।

কী জানালেন মালিক এবং কর্মচারীরা?

এক কর্মচারী শেখ সইফুদ্দিন জানান, কাজের এত চাপ তাঁরা খাওয়া দাওয়ার সময় পাচ্ছেন না। সকাল দশটার টিফিন দুপুর বারোটায় খাচ্ছেন। ভোট হঠাৎ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার ফলে (Panchayat Vote) তাঁদের কাজের চাপ বেড়ে গেছে। সব রাজনৈতিক দলই চাইছে তাদের যেন তাড়াতাড়ি পতাকা দিয়ে দেওয়া হয়। শেখ মোরসেলিন নামে এক কারিগর জানান, কাজের চাপে তাঁদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ। মালিক জানিয়েছে, ভোটের পর ছুটি দেওয়া হবে। তার আগে নয়।এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরি করছেন রাজু হালদার। রাজু হালদার জানিয়েছেন, তাঁর কারখানায় ১০ জন কারিগর কাজ করলেও তাতেও কাজ শেষ হচ্ছে না। মাঝ রাত পর্যন্ত কাজ চলছে। বাধ্য হয়ে আশপাশের কিছু বাড়িতে সেলাইয়ের জন্য মাল পাঠানো হচ্ছে। যেহেতু এখান থেকে গোটা পশ্চিম বাংলাতেই পতাকা সরবরাহ করা হচ্ছে, তাই কাজের চাপ একটু বেশি। কাজের চাপ বেশি হলেও বাড়তি লাভ হওয়ায় খুশি কারখানার মালিক এবং কর্মীরা। গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়ে বাড়তি লাভ তাঁদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

করোনার পর বড় বরাত

এক পতাকা শিল্পী জানান, শেষবার করোনা পিরিয়ডে পিপিপি কিট তৈরির বরাত পেয়েছিলেন। যখন চারদিকে কারখানা বন্ধ, তখন তাঁরা রাত দিন এক করে পিপিই কিট তৈরি করেছিলেন। তারপর অনেকটা সময় বরাত ক্রমশ কমে যায়। করোনার পর থেকে রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতির ছোটখাট কিছু বরাত আসছিল। বাকি সময়টা তাঁরা বসেই থাকছিলেন। তবে আবার পঞ্চায়েত ভোট এসে যাওয়ার ফলে (Panchayat Vote) একটা বিরাট পরিমাণ অর্ডার এসে গেছে। নির্বাচন এবং নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত এই অর্ডার চলবে বলে তাঁরা মনে করেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles